আবার জয় ভারতের। সেই অর্থে নিয়মরক্ষার এক দিনের ম্যাচেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় রানের জয় তুলে নিল রোহিত ব্রিগেড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতের এই জয় অবশ্যই দলের মনোবলকে আর দৃঢ় করবে। আত্ম বিশ্বাস নিয়ে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দুবাইতে উড়ে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে হেরে যাবার পরে ভারতীয় দল বেশ ভেঙে পড়েছিল মানসিক দিক দিয়ে। কিন্তু এবারে সাদা বলের ক্রিকেটে ঝকঝকে ভারতীয় দলকে দেখতে পাওয়া গেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর এক দিনের সিরিজেও ভারতীয় দলের দাপট দেখা গেল। অহমদাবাদে আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেন শুভমন গিল ও শ্রেয়স আইয়াররা। কোচ গৌতম গম্ভীর কিছুটা খুশি হতে পেরেছেন বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের খেলা দেখে।
আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় দল বুধবার জিতল ১৪২ রানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারতের ৩৫৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যাায় ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানে। একদিনের ক্রিকেট সিরিজে ৩টি ম্যাচেই ভারতের জয় দেখতে পাওয়া গেল। টি-২০ ক্রিকেটের পরেই একদিনের ক্রিকেটেও সিরিজ ভারতের হাতের মুঠোয় থাকল।
দিনের শুরুতেই রোহিত ১ রানে আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে চলে যান। কিন্তু শুভমন গিল অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা নিয়ে খেলতে থাকেন। তার ব্যাট থেকে শতরান এসেছে। তিনি ১০২ বলে ১১২ রান করেন। এই রান করার ফাঁকে ১৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা মারেন। আইপিএলে শুভমনের তিনটি শতরান রয়েছে এই ম্যাঠে। টেস্ট, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও শতরান রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাঁর ফর্ম খুশি করেছে গম্ভীরকে। শ্রেয়সকে দেখেও ভাল লেগেছে কোচের। মিডল অর্ডারে তিনিই ভরসা। গত এক দিনের বিশ্বকাপের মতোই সাবলীল ব্যাটিং করছেন। তিনি খেললেন ৬৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংস। মারলেন ৮টি চার, ২টি ছক্কা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শেষ ম্যাচে কোহলি এবং রাহুলের ইনিংস স্বস্তি দেবে ভারতীয় শিবিরকে। বেশ কিছু দিন ধরে রান পাচ্ছিলেন না কোহলি। কোহলি করলেন ৫৫ বলে ৫২। ৭টি চার, ১টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। অর্ধশতরানের ইনিংস তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে। ঠিক সময়ে ফর্মে ফিরতে পারেন কোহলি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসাবে গম্ভীরের ভরসা রাহুলের উপর। তিনি ২৯ বলে ৪০ রানের কার্যকর ইনিংস খেললেন। ভারত শেষ পর্যন্ত ইনিংস শেষ করল ৩৫৬ রানে। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে আবারও নজর কাড়লেন আদিল রশিদ।
তবে এদিনের ম্যাচে জয়ের জন্য সেইভাবে খেলবার চেষ্টা করেনি ইংল্যান্ড। শুধু আগ্রাসী ব্যাটিং করার চেষ্টা করলেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট (২৩) এবং বেন ডাকেট (৩৪)। যদিও টম ব্যান্টন, জো রুটদের খেলায় বাজ়বলের প্রভাব দেখা গেল না। হতে পারে ২২ গজে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করেছেন ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তবে হ্যারি ব্রুক, বাটলারেরা খানিকটা ধরে খেলার চেষ্টা করলেন। বল বুঝে ব্যাট করলেন। অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবদের স্পিনের বিরুদ্ধে ঝুঁকিহীন ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করলেন। তাতে অবশ্য লাভ কিছু হল না। তাঁরা রান করতে পারলেন না। ব্রুক (১৯), বাটলার (৬), লিয়াম লিভিংস্টোন (৯) কেউই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না।
কিছুটা লড়াই করলেন শুধু গাস অ্যাক্টিনসন। সেই লড়াই অবশ্য ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে যে হতাশার মধ্যে ভারতীয় দল ডুবে ছিল সেই জায়গা থেকে আলোয় ফিরল রোহিত ব্রিগেড।