• facebook
  • twitter
Monday, 14 July, 2025

আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিমান দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং প্যাটেলকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর সন্ধ্যাতেই আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভেঙে পড়ার পর বিমানে থাকা বিপুল পরিমাণ জ্বালানি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠায় কোনও যাত্রীকে বাঁচানোর সুযোগই ছিল না। তিনি দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বলেন, ১ লক্ষ ২৫ হাজার লিটার তেল পুড়েছে। আগুনের প্রবল তাপের কারণে কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। যদিও এই দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ২৪২ জনের মধ্যে একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আহমেদাবাদে পৌঁছে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন।

উল্লেখ্য, একসময় এই রাজ্যের শাসনক্ষমতা ছিল মোদীর হাতেই। তিনি ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৩ বছর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আর সেই রাজ্যে এতবড় দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এক্স হ্যান্ডলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সবাই আহমেদাবাদের এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ। এতগুলো প্রাণ এভাবে এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যাওয়ার এই বেদনাকে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রইল। আমরা জানি, তাঁদের এই যন্ত্রণা কতটা গভীর এবং সেই শূণ্যতা অপূরণীয়। ওম শান্তি।’

এদিন প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়। তদন্তের জন্য আসে ফরেনসিক দল। স্নিফার ডগ নিয়ে এসে চলছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে আরও কেউ আটকে রয়েছে কিনা এই সন্দেহ দূর করতে এখনও খোঁজ চলছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালেই আহমেদাবাদে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডুও। মোদী হাসপাতালে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ।

এদিন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসনও। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মৃত যাত্রীদের দেহ শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে মৃতদের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।