কিছুদিন আগেই আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব। বিমানবন্দর থেকে উড়ানের মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী বিমানটি। লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল বোয়িং ৭৮৭ মডেলের বিমানটি। দু’জন দক্ষ পাইলট থাকা সত্ত্বেও যাত্রী সমেত বিমানটি ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বদলে ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে হেনস্থা করছে এয়ার ইন্ডিয়া। নিহতদের প্রায় ৪০টি পরিবার এমন অভিযোগ করেছে।
ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজনেরও মৃত্যু হয়েছে। বোয়িং ৭৮৭ মডেলের বিমান ভেঙে পড়ার জেরে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথমে জানিয়েছিল গুজরাত সরকার। পরে গুজরাতের স্বাস্থ্য দপ্তর জানায় ওই বিমান দুর্ঘটনার জেরে ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করে মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরে এই সংস্থা জানায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা পরিবার পিছু দেওয়া হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম ফিল আপ করতে বলা হয় মৃতদের পরিবারকে। প্রায় ৪০টি পরিবারের অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়া তাঁদের কাছে ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থার কথা জানতে চাইছে। কার কেমন আর্থিক অবস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার তা জানার অধিকার নেই বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।
যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া। ওই বিমান সংস্থা জানিয়েছে, যাতে সঠিক পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ পৌঁছয় সে কারণেই এমন ফর্ম ফিল আপের ক্ষেত্রে নিয়মের কড়াকড়ি করা হয়েছে। নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। অথচ মৃতদের পরিবার দাবি করেছে, ফর্মে জোর করে সই করাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। এই অভিযোগ নস্যাৎ করে এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, মানবিক দিকগুলি বিবেচনা করেই যত দ্রুত সম্ভব মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়া জন্য উদ্যোগী তারা। তাই পরিবারগুলির পক্ষ থেকে আসা অভিযোগকে মানছে না এয়ার ইন্ডিয়া।
অন্যদিকে, ওই বিমানে ৫২ জন ব্রিটেনের বাসিন্দা ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের পরিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে। লন্ডনভিত্তিক আইন সংস্থা কিস্টোন ল-র সঙ্গে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে তাদের।