• facebook
  • twitter
Monday, 28 July, 2025

যাদবপুরে পড়ুয়াদের ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জুটার

তাৎপর্যপূর্ণভাবে জুটা এক বার্তায় জানিয়েছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় অংশে ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট চলছে। অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।'

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনার পর এখনও অচলাবস্থা অব্যাহত। এখনও সেখানে বিক্ষোভ, ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট চলছে সমানতালে। আগামী সোমবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে অচলাবস্থা বজায় রেখেছে এসএফআই-সহ অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দাবি না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে এসএফআই নেতৃত্ব। এবার বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতায় নামল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরা ও পরীক্ষা শুরুর আবেদন জানিয়েছে  জুটা।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই-এর নজিরবিহীন অশান্তি দেখা যায়। সেই প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে জোর তরজা রাজনৈতিক মহলে। শাসক-বিরোধী সংঘাতও পৌঁছেছে চরমে। যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে জুটা এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় অংশে ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট চলছে। অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার-সহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ছাত্রছাত্রীদের উত্থাপিত অভিযোগগুলিও এর আওতায় আছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে, সমস্ত পরিসরে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো পুনর্বহাল করা বিষয়ক দাবিগুলি ন্যায্য ও সঙ্গত। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের অনুরোধ ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত তোমরা পুনর্বিবেচনা কর।’

এদিকে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসুক, এই আবেদনে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠন। চলতি সপ্তাহ থেকে সম্পূর্ণ অচলাবস্থা চলছে। পরীক্ষা ও ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগেই। এছাড়াও সোমবারের পর থেকে আরও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

News Hub