• facebook
  • twitter
Monday, 16 June, 2025

রিভিউ পিটিশনের খসড়ায় সন্তুষ্ট হয়েও দিল্লিমুখী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চাকরিহারাদের

শিক্ষাসচিবের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর আন্দোলনকে দিল্লিমুখী করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকারা।

শিক্ষাসচিবের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর আন্দোলনকে দিল্লিমুখী করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকারা। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সরকারের তরফে পুনর্বিবেচনা মামলার জন্য যে খসড়া তৈরি হয়েছে তা দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট। কিন্তু তাঁরা সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। কারণ তাঁদের সব প্রশ্নের উত্তর বৈঠকে মেলেনি। এ দিনের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চাকরিহারারা।

রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে একাধিকবার শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন চাকরিহারারা। বৈঠক চেয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ডেডলাইন। কিন্তু ব্রাত্য বসু জানান, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চিঠি পাঠানো হয়নি। আলোচনার বিষয়বস্তু চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। সোমবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চিঠি পাঠান চাকরিহারারা। এরপরই বিকাশ ভবনের তরফে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অবস্থানের ২১ দিনের মাথায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছে এসএসসি–র চাকরিহারারা। চাকরিহারাদের ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগদান করেন। সেই দলে ছিলেন রাকেশ আলম, চিন্ময় মণ্ডল, বৃন্দাবন ঘোষ, অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া, মহম্মদ হাবিবউল্লা ও অপরাজিতা পান্ডা। অপরদিকে সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার, সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পের ডিরেক্টর শুভ্র চক্রবর্তী সহ অন্যরা।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ মে–র মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর। এ দিনও চাকরিহারারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা আর নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন না। বৈঠকে চাকরিহারারা দাবি করেন, পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে যোগ্য শিক্ষক–শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরিতে বহাল রাখা যায় তার ব্যবস্থা করুক সরকার। পুনর্বিবেচনা মামলার রায়ের আগে যেন নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা না হয়। রিপ্যানেল করে চাকরি নিশ্চিত করা দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বৈঠকে শিক্ষাসচিব সহ সরকারের অন্য প্রতিনিধিরা চাকরিহারাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বলে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছেন চাকরিহারারা। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী কেন ছিলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। চাকরিহারারা জানিয়েছেন, সরকারের রিভিউ পিটিশনের খসড়া দেখে সন্তুষ্ট হলেও কবে এই পিটিশন করা হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি শিক্ষাসচিব। অরপরদিকে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে বাধ্য সরকার।