• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফৌজদারি মামলা শোনার অনুমতি ফিরল বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের

ফৌজদারি মামলার শুনানি থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশান্ত কুমারকে বিরত রাখার নির্দেশ প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট।

ফৌজদারি মামলার শুনানি থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশান্ত কুমারকে বিরত রাখার নির্দেশ প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এখন থেকে বিচারপতি কুমার ফৌজদারি মামলার শুনানি চালাতে পারবেন। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মামলার শুনানি এখানেই স্থগিত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক দেওয়ানি মামলায় বিচারপতি প্রশান্ত কুমার ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন, যা নিয়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ সেই নির্দেশকে ‘অত্যন্ত ভুল এবং নজিরবিহীন’ বলে অভিহিত করে। সেই সঙ্গে বিচারপতি কুমারের বিচারবোধ ও আইনজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে জানায়, যত দিন বিচারপতি কুমার কর্মরত থাকবেন, তিনি কোনও ফৌজদারি মামলার শুনানি করতে পারবেন না। এমনকি ডিভিশন বেঞ্চে থাকলে তাঁর সঙ্গে রাখতে হবে এক অভিজ্ঞ সহ-বিচারপতিকে। সেই নির্দেশেই বলা হয়েছিল, ‘এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থাকে হাস্যাস্পদ করে তোলে।’

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাহাবাদ হাইকোর্টের ১৩ জন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি অরুণ ভানসালিকে চিঠি লিখে তাঁরা আবেদন জানান, যেন ওই রায়কে অমান্য করে হাইকোর্ট একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারপতি বৈঠক ডাকে এবং নিজেদের প্রশাসনিক অধিকার বজায় রাখে।

তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গবইয়ের অনুরোধে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পারদিওয়ালা ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন। শুক্রবার সেই বিবেচনার ফল প্রকাশ্যে আসে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে বেঞ্চ। সেই চিঠির ভিত্তিতেই বিচারপতি কুমারকে নিয়ে আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না। আইনের শাসন যদি আদালত নিজেই না মানে, তাহলে বিচারব্যবস্থা সংকটে পড়বে। বিচারপতিরা যেন নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, সেটাই প্রত্যাশা।’

এই সিদ্ধান্তের ফলে বিচারপতি প্রশান্ত কুমার তাঁর বিচারিক কাজকর্মে পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পেলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বার্তা, বিচারপতিদের পেশাদারিত্ব এবং আইনগত সচেতনতা নিয়ে কোনও রকম শিথিলতা গ্রহণযোগ্য নয়।

Advertisement