• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ডিএ নিয়ে বড় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের, ১৩ রাজ্যের তুলনা টেনে কৌশলী সওয়াল-জবাবে রাজ্য

ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে রাজ্যকে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য টাকা দিতে পারেনি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানির সময় নিজের অবস্থানে অনড় রইল রাজ্য। তুলে ধরল ১৩ রাজ্যের তুলনা। মঙ্গলবার দুই পক্ষের সওয়াল জবাবে রীতিমতো উত্তপ্ত দেশের শীর্ষ আদালত চত্বর। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ সওয়াল শুরু হওয়ার পূর্বেই সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ডিএ আদৌ কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার কিনা? সেই প্রশ্নেই কোর্টরুমে মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

এদিন বিচারপতি করোল বলেন, ‘মামলার নির্যাসে যাওয়ার আগে আমরা একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। হাইকোর্টের রায়ে ‘ফান্ডামেন্টাল রাইট’ শব্দবন্ধটি উঠে এসেছে। ডিএ-কে আদৌ কি মৌলিক অধিকার হিসেবে ধরা যায়? এই প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান কী?’

Advertisement

সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী শ্যাম দেওয়ান বলেন, পুরনো মামলার দৃষ্টান্ত অনুযায়ী ডিএ-কে কখনোই মৌলিক অধিকারের মধ্যে ফেলা যায় না। তিনি বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয়ে সওয়াল রাখতে চাই। ডিএ ফান্ডামেন্টাল রাইট নয়, ⁠ডিএ নিয়ে কোনও আইনি এবং স্ট‍্যাটুয়েটরি রাইটস নেই। সরকারি কর্মীদের ⁠ডিএ মূলত সরকারের বিবেচনা বা বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করে। সরকার বিভিন্ন সময়ে নিজেদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ডিএ ঘোষণা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রের হারে রাজ‍্যকে ডিএ দিতে বাধ‍্য করতে পারে না। রাজ‍্য টানা ডিএ দিয়েছে এবং ডিএর বৃদ্ধিও করেছে।’

Advertisement

এদিন শুনানির সময় রাজ‍্যের পক্ষে আরও এক আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিসের জন‍্য কর্মীদের কতটা বেতন দেওয়া হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট রাজ‍্য ঠিক করে। রাজ‍্যগুলিকে কেন্দ্রের নিয়ম মানতেই হবে তেমন কোনও নিয়ম নেই। এমনকি দেশের ১৩ রাজ‍্য আলাদা আলাদা নিয়মে ডিএ দেয়।’

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ডিএ হল আইনানুগ অধিকার। এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য হিসেবেই গণ্য করা হয়ে এসেছে। বিচারপতির প্রাথমিক প্রশ্ন ও উভয় পক্ষের পাল্টা বক্তব্য শোনার পরেই শুরু হয় মূল সওয়াল-জবাব পর্ব। মামলার রায় কোন পথে মোড় নেয়, এখন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গোটা রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে রাজ্যকে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য টাকা দিতে পারেনি। এই মামলায় সোমবারের শুনানিতে আরও সময় চেয়েছিল রাজ্য।  সোমবার আদালতে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছিল, যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, সেটা বিপুল, যা রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এখন দেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement