শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত হতবাক এবং মর্মাহত। ডাইরেক্টর অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন (ডিপিআই) কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালকে গভর্নিং বডির বৈঠক ডাকতে বলেছেন। কলেজের কোথায় নিরাপত্তার গাফিলতি ছিল, তা খুঁজে বার করতে হবে এবং কলেজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই জন্য যা যা পদক্ষেপ করার, তা করতে হবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হবে।’ সূত্রের খবর, আগামী সোমবার কলেজের গভর্নিং বডির জরুরি বৈঠক হতে চলেছে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক রঙ না দেখে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রী আবার ‘অপরাধী যে দলেরই হোক, শাস্তি হবেই’ বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি, নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়ে ‘অপরাজিতা বিল’ দ্রুত আইনে পরিণত করার পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা।
Advertisement
রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্ত জোরকদমে চলছে। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের কোনওভাবে ছাড়া হবে না। আইন অনুযায়ী কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।’এ
Advertisement
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই গোটা কলেজ পুলিশের ঘেরাটোপে। ওই আইন কলেজের ইউনিয়ন রুম থেকে গার্ড রুম, সর্বত্র বসে রয়েছে পুলিশ। আশপাশের রাস্তাতেও যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ঘটনাস্থল। ওই আইন কলেজে শনিবার সকালে আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে নির্যাতিতা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল গার্ড রুমে। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তাঁদের থেকেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। পরে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। আর শনিবার কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Advertisement



