ভোটের মুখেই নেতা-মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন। লক্ষ্য যে কোনও উপায়ে ক্ষমতা দখল। বুধবারেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে কেজরিওয়াল একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির ভোটারদের বাগে আনার চেষ্টা করেছেন। বাদ যান না বিজেপি নেতারাও। গেরুয়া শিবিরও নির্বাচনী প্রচারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিল্লিবাসীকে। ভোটের মুখে ১ ফেব্রুয়ারি নির্মলার কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়কর ছাড় সহ ঢালাও প্রতিশ্রুতি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এবার সেই তালিকায় সংবাদ শিরোনামে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এবার দিল্লির বস্তিবাসীদের প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে বস্তি উচ্ছেদ হবে না’।
কিন্তু মোদির এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাজধানীর আনাচে কানাচে শুরু হয়েছে চাপা গুঞ্জন। হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী কেন এই প্রতিশ্রুতি দিলেন? এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, সম্প্রতি ভোট প্রচারে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বস্তিবাসীদের মনে বিজেপি-কে নিয়ে যে ভীতি প্রদর্শন করেছেন, এটা তারই পাল্টা রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বস্তিবাসীর উপর হামলা চালাবে। সেটারই জবাব দিতে দিল্লির আরকে পুরমে ভোটপ্রচারে এসে বিজেপি সম্পর্কে দিল্লির বস্তিবাসীদের আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দিল্লির একটি বস্তিও ভাঙা হবে না। আমরা কেবল দেখানদারির জন্য কোনও ঘোষণা করি না। আমরা বাজেটে প্রতিশ্রুতি পূরণ করি। জনস্বার্থ রক্ষাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ক্ষমতায় আসার পর সরকারি প্রকল্পগুলি বন্ধ হবে না। আমি ওঁদের আবেগকে বুঝতে পারি। কারণ আমিও পূর্বাঞ্চলের একজন সাংসদ। কোভিডের সময় কিছু রাজনৈতিক দল তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিল। তাঁদের দিল্লি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তবে বিজেপি সরকার সর্বদা পূর্বাঞ্চল ও বিহারের জনগণকে সমর্থন করবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, আম আদমি পার্টি গুজব ছড়িয়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছে।