তথ্যের অধিকার আইনে জবাব দেওয়ার নীতি কঠোর করেছে ভারতীয় রেল

Written by SNS January 5, 2024 7:10 pm

দিল্লি, ৫ জানুয়ারি – তথ্যের অধিকার আইনে জবাব দেওয়ার নীতি কঠোর করেছে ভারতীয় রেল। সম্প্রতি বিভিন্ন স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে সেলফি বুথ তৈরি হয়েছে। সেগুলি তৈরি করতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয় তা প্রকাশ্যে আসায় বিড়ম্বনার মুখে কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার । তার জেরে বিশেষত জোনাল রেলওয়ের ক্ষেত্রে নয়া নিয়মে জেনারেল ম্যানেজার বা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে দেখিয়ে তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তাঁদের ছাড়পত্র বা সম্মতি ছাড়া কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।

গত ২৭ ডিসেম্বর তথ্যের অধিকার আইনে প্রশ্ন করে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ  স্থায়ী সেলফি বুথ তৈরি করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে ৬.২৫ লক্ষ টাকা, অস্থায়ী বুথে ১.২৫ লক্ষ টাকা করে খরচ হয়েছে। সেন্ট্রাল রেলওয়ের তরফে তথ্য প্রকাশ হতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার এক সাংসদ। এক্স হ্যান্ডলে স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের দুর্দশার ছবি ও সেলফি বুথের ছবি পোস্ট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। এরপরই ২৮ ডিসেম্বর সমস্ত জোনের জিএম-দের কাছে পৌঁছয় রেল বোর্ডের নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়েছে,  নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরটিআই আবেদনের জবাব দেওয়ার সঙ্গে সমস্ত উত্তর জোনের ক্ষেত্রে জিএম এবং ডিভিশনের ক্ষেত্রে ডিআরএমকে দিয়ে অনুমোদন করতে হবে । অ‌্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল বা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে জবাব দিতে হলেও তা জিএম, ডিআরএমদের দিয়ে অনুমোদন করাতে হবে।

প্রসঙ্গত, আরটিআই আর্জির জবাব দিতে চিফ পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার ও পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার নিয়োগ করেছিল রেল। এ বিষয়ে জিএম, ডিআরএমদের কোনও ভূমিকা নেই । সেলফি বুথ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিলেন সেন্ট্রাল রেলওয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অভয় মিশ্র । কিন্তু বিতর্কের জেরে সেন্ট্রাল রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক শিবাজি মানাসপুরেকে দায়িত্ব গ্রহণের সাত মাস পরেই বদলি করা হয়। সাধারণত, দুবছরের জন্য এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই বদলির পরই রাহুল এক্স হ্যান্ডলে কটাক্ষ করেন, ‘শাহেনশাহ কি রাজা, সচ কা ইনাম সাজা’ ।