• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

প্রতিদিন ২০০ টাকার বিনিময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গুজরাত উপকূল থেকে গ্রেপ্তার যুবক 

পাকিস্তানে তথ্য পাচার করতেন প্রতিদিন, মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে।  গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাতের উপকূল থেকে গ্রেপ্তার করা হল  দীপেশ গোহিল নামে  এক যুবককে। ধৃত ওই যুবক ভারতের উপকূলের গোপন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে ওই যুবকের চুক্তিও হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।

পাকিস্তানে তথ্য পাচার করতেন প্রতিদিন, মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে।  গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাতের উপকূল থেকে গ্রেপ্তার করা হল  দীপেশ গোহিল নামে  এক যুবককে। ধৃত ওই যুবক ভারতের উপকূলের গোপন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে ওই যুবকের চুক্তিও হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।


পুলিশসূত্রে খবর, গুজরাতের দ্বারকায় একটি সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতেন দীপেশ গোহিল নামে ওই যুবক । তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন,  দীপেশ গত তিন বছর ধরে ওখা জেটিতে নৌকা মেরামতের কাজ করতেন। প্রায় সাত মাস আগে ফেসবুকে ‘সাহিমা “নামে ওই মহিলার সঙ্গে পরিচিত হন দীপেশ । তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপেও যোগাযোগ করতেন।তিনি ওই মহিলার কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর আধিকারিক হিসেবে। পাকিস্তানি এজেন্ট যখন জানতে পারেন যে গোহিল বন্দর এলাকার কাছে দোকানগুলিতে ঝালাই এবং বৈদ্যুতিক মেরামতের কাজে নিযুক্ত, তখন সাহিমা জেটিতে ভেড়া উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের নাম এবং সংখ্যা এবং তাদের চলাচল সম্পর্কে তথ্যের জন্য তাঁকে প্রতিদিন ২০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।  
 
দীপেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলির কাছে যেতে পারতেন মেরামতির জন্য। সহজেই সেই সব জাহাজগুলির ছবি এবং ভিডিও তুলে তিনি ওই মহিলাকে পাঠিয়ে দিতেন হোয়াট্‌সঅ্যাপে।  ছবি, ভিডিও ছাড়াও অন্য কোনও তথ্য জানতে চাইলেও তিনি তাও বলে দিতেন। ভারতে থেকেও পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে দিনের পর দিন  কাজ করে গেছেন ওই যুবক। 

দীপেশের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। এক বন্ধুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর পারিশ্রমিক জমা পড়ত। তাঁর কাছ থেকে নগদ টাকা নিতেন দীপেশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই বন্ধুর হয়ে তিনি কিছু কাজ করে দিয়েছিলেন। তার পারিশ্রমিক নিয়েছেন। আসলে ওই মহিলা সাত মাস ধরে ইউপিআই-এর মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্ট-এ  মোট ৪২ হাজার টাকা পাঠান।  গুজরাত এটিএস-এর ডেপুটি পুলিশ সুপার ভিরজিৎ পারমার বলেন, ‘গোয়েল জানতেন যে তিনি কী ধরনের তথ্য ভাগ করে নিচ্ছেন এবং কার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। তিনি জানতেন যে এটি অবৈধ। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে তিনি অর্থের জন্য এটি করেছেন।’ তিনি নিয়মিতভাবে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলি এবং সেগুলি কোথায় অবস্থান করছিল সে সম্পর্কে তথ্য দিতেন।ভারতীয় ন্যায় সংহিতার যথাক্রমে ৬১ এবং ১৪৭ ধারায় ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগে দীপেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

ওখা গুজরাটের দেবভূমি দ্বারকা জেলার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।  দ্বারকা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং দ্বারকা দ্বীপের প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে। ওখা বন্দর উল্লেখযোগ্য সামুদ্রিক মাছ ধরার জন্য।  পাকিস্তানের উপকূলরেখার কাছে এই বন্দর শহর ভারতীয় নৌ ঘাঁটির জন্য সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।

পারমার বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আগের একটি মামলার মিল রয়েছে। গত মাসে পোরবন্দরের এক ব্যক্তিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।  যদিও এই দুটি মামলার মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। এটিএস পোরবন্দর  পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের জন্য কাজ করার অভিযোগে তামাক কারখানার শ্রমিক পঙ্কজ কোটিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এক্ষেত্রেও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের চলাচল সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ ছিল ।