• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি ট্রাম্পের

ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ চাপানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানিভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তির কথা ঘোষণা ট্রাম্পের।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ চাপানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানিভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তির কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার মাঝরাতে তাঁর নিজস্ব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশালে’ পোস্ট করে চুক্তির কথা জানান ট্রাম্প। দাবি করেন, এই চুক্তি আমেরিকা ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পারে।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। এর আওতায় দুই দেশ একযোগে পাকিস্তানের বিশাল তেলের ভাণ্ডার অনুসন্ধান ও উন্নয়নে কাজ করবে।’ যদিও তিনি সংশ্লিষ্ট মার্কিন তেল কোম্পানির নাম এখনও ঘোষণা করেননি, জানিয়েছেন, সংস্থাটি খুঁজে বের করার কাজ চলছে। এদিকে পাকিস্তানের দাবি, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি সেরে নিয়েছে তারা। এর ফলে আমেরিকার বাজারে তাদের পণ্যের উপর শুল্ক কমবে বলেও দাবি ইসলামাবাদের। যদিও ট্রাম্প এমন কোনও মন্তব্য এখনও করেননি।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ভারত যখন রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির হার বাড়িয়েছে, তখন ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে ভারতের উপরে অসন্তোষ জানিয়ে ট্যারিফ এবং পেনাল্টি চাপিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিকে একপ্রকার ‘কৌশলগত বার্তা’ হিসেবে দেখছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

চুক্তির শর্ত বা সময়সীমা এখনও প্রকাশ্যে না এলেও ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সিন্ধু বেসিন অঞ্চলের বিশাল তেল মজুতকে কেন্দ্র করেই এই প্রকল্প গড়ে উঠবে। ‘অয়েল অ্যান্ড গ্যাস জার্নাল’-এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের ভূপৃষ্ঠের নীচে আনুমানিক ৯ বিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের মজুত রয়েছে, যার অধিকাংশই এখনও অনুসন্ধান করা হয়নি।

গত সপ্তাহে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র সঙ্গে বৈঠকের পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছিলেন, একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। বুধবার ট্রাম্পের ঘোষণায় সেই চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে এল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি শুধু জ্বালানি বাজার নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্যেও পরিবর্তন আনতে পারে।

Advertisement