শনিবার ব্রিটেনের অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থা সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) বার্ষিক রিপাের্ট প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। রিপাের্টে বলা হয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে, ২০২৫ সালে ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। আর ২০২৭ সালে জার্মানি এবং ২০৩১ সালে জাপানকে পিছনে ফেলে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে। সামনে থাকবে শুধু আমেরিকা আর চিন। এই দুই দেশের সঙ্গে বাকিদের ফারাকটা অবশ্য বিশাল।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতির মােট অঙ্কের হিসেবে বর্তমানে ভারতের স্থান ষষ্ঠ। ২০১৯ সালে ব্রিটেনকে টপকে ভারতের অর্থনীতি পঞ্চম স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু করােনা অতিমারি পরিস্থিতিতে জিডিপি (মােট জাতীয় উৎপাদন) প্রবল ধাক্কা খাওয়ায় ফের এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে ভারত। বিভিন্ন দেশের বৃদ্ধির হারের হিসেব কষে সিইবিআর-এর অর্থনীতিবিদেরা জানাচ্ছেন, ২০২১ সাল থেকে ফের ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার গতি পাবে। বার্ষিক রিপাের্টের পূর্বাভাস, ভারতীয় অর্থনীতি ২০২১ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ শতাংশ প্রসারিত হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারতে বৃদ্ধির হার ৮.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরেই অধােগতি শুরু হয়। ২০১৮-তে ৬.১ শতাংশ থাকলেও ২০১৯-এর শেষপর্বে তা ৪.২ শতাংশে নেমে আসে। এরপর করােনা পরিস্থিতিতে জিডিপির পতন ঘটে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারে অক্টোবর মাসে প্রকাশিত একটি রিপাের্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে জিডিপির পতন ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশও টপকে যেতে পারে ভারতকে।
Advertisement
এর পরে একটি রিপাের্টে আইএমএফ জানায়, ২০২১ সালেই অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেকটা মেরামত করে ফেলবে ভারত। তাদের মতে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে চলেছে ৮.৮ শতাংশ। শানিবার সিইবিআর-ও সেই পূর্বাভাসই দিয়েছে।
Advertisement



