উত্তরপ্রদেশে বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া শ্রেণীভুক্ত দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বৈঠক করেন । ওই বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিং, উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, ন্যাশানাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস’র ভাইস চেয়ারম্যান লোকেশ কুমার প্রজাপতি উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দলীয় এক অনুষ্ঠানে জানান, তার সরকার কুমোরদের আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। অযোধ্যায় দীপাবলী উৎসবে ৯ লক্ষ প্রদীপ জ্বালোনো হবে। আর এই প্রদীপগুলো সরকার স্থানীয় কুমোরদের থেকে কিনবে। অর্থাৎ স্থানীয় কুমোরদেরকে এই বিশাল পরিমাণ প্রদীপ তৈরি করার সরকারি বরাত দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাজ্যের জাতপাতভিত্তিক ভোট ব্যাঙ্ককে পাখির চোখ ধরে নিয়ে রাজ্য বিজেপি ‘সামাজিক প্রতিনিধি সম্মেলন’র আয়োজন করেছিল। রাজ্যের কুমোর সম্প্রদায়ভুক্তদের নিয়ে গঠিত ‘প্রজাপতি সমাজ’র সদস্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশ বিজেপি’র এক নেতা বলেন, দলের তরফে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র এই ধরনের ২৭টি সম্মেলন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিকে, বিরোধী সপা দল রাজ্যের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে। বিএসপি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়কে নিজের পক্ষে টানতে সম্মেলন করছে।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনকে পাখির চোখ ধরে নিয়ে দুই যুযুধান পক্ষ ভোটের ময়দানে একে অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। একদিকে ক্ষমতায় ফেরার লড়াই, অন্যদিকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জেদ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের কুমোরদের সহায়তা করতে মাটি কলা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগে ঠাকুরের মূর্তি চিনে তৈরি হত। চিন নাস্তিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও লক্ষী গণেশের মূর্তি তৈরি করে চড়া দামে বিক্রি করত। আর এখানকার প্রজাপতি সমাজের লোকজন কাজ না পেয়ে বসে থাকতেন।
এখন আমরা চিনের থেকে মূর্তি কিনব না। আমরা নিজেরাই মূর্তি তৈরি করব’। রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যে এই সম্মেলনগুলো করা হবে। এই প্রোগ্রামগুলো জাতপাত কেন্দ্ৰিক নয়’।
Advertisement



