• facebook
  • twitter
Sunday, 27 July, 2025

ডিজিটাল ভোটার লিস্ট: নির্বাচনে ‘স্বচ্ছ্বতা’ নিয়ে কমিশনকে চ্যালেঞ্জ রাহুল গান্ধীর

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী। ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে সরসরি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলনেতা। তিনি ডিজিটাল ভোটার লিস্ট ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে বললেন নির্বাচন কমিশনকে। এর আগে মহারাষ্ট্রে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের যদি কিছু লুকোনোর না থাকে তাহলে স্বচ্ছ্বতার স্বার্থে ডিজিটাল ভোটার লিস্ট, মহারাষ্ট্রের সব বুথে পাঁচটার পর কী হয়েছিল, সেটার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক।

সেই অভিযোগের পর প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগকে রীতিমতো কড়া ভাষায় খণ্ডন করেছে নির্বাচন কমিশন। জবাবে কমিশনের দাবি, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাহুল গান্ধীর দাবি অস্পষ্ট ও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী ফলাফল প্রতিকূলে গেলেই নির্বাচন কমিশনকে অপমান করার চেষ্টা করা হয়। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কমিশনের পাল্টা যুক্তি, ভোটের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের অনুমোদিত এজেন্টরা কখনও অস্বাভাবিক ভোটগ্রহণ সম্পর্কে কোনও আপত্তি বা অভিযোগ করেননি। অথচ রাহুল গান্ধী কেন এই অভিযোগ করছেন?

কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই বিবৃতি প্রকাশের পরও ফের সরব হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি আরও সুর চড়িয়ে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘প্রিয় নির্বাচন কমিশন। আপনারা একটি সাংবিধানিক সংস্থা। এরকম বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। তাতে আপনাদের ভাবমূর্তিও রক্ষা হবে না। বরং প্রশ্নের জবাব দিন, তাহলেই হবে।’

প্রসঙ্গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি ভুয়ো ভোটার তালিকা, জাল ভোট, এমনকী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, মোট পাঁচটি ধাপে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে জালিয়াতি করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী সেই পাঁচটি জালিয়াতি হল– নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য প্যানেল গঠন, তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানো, ভোটারদের সংখ্যা বৃদ্ধি, ঠিক যেখানে বিজেপির জয় প্রয়োজন, সেখানে জাল ভোট এবং সর্বশেষ এই কর্মকাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ করেন।

এছাড়া রাহুল গান্ধী, ২০২৩ সালে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এনেছিল, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই আইনে নির্বাচন কমিশনারদের নির্বাচনের জন্য কমিটিতে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই জায়গায় একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। সেজন্য কমিশনের পক্ষপাতিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।