বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে উত্তাল সারা দেশের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশনে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। দুই কক্ষ ছাড়াও সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি-সহ এই জোটের প্রায় সব দল বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ চেহারাই সবার নজরে এসেছে। ‘এসআইআর: গণতন্ত্রের উপর আঘাত’ লেখা পোস্টার নিয়ে সংসদের ভিতরে-বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। তৃণমূল এদিন সংযোজন করেছে বাংলা এবং বাঙালি হেনস্থার বিষয়টিও।
এ কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরে অধিবেশন শুরু হলেও হট্টগোল চলতে থাকে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন সকাল ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের এই আচরণের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই কাজ সভার গরিমাকে নষ্ট করছে। যে আচরণ করা হচ্ছে, তা গোটা দেশ দেখছে।’
Advertisement
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ‘এটা খুবই গুরুতর একটি বিষয়। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করছে না। এখন আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে, নির্বাচন কমিশন কর্ণাটকের একটি আসনে কারচুপি করতে দিয়েছে।’ মোট কথা বিহারের ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষার কাজ স্থগিত করতে চাইছে বিরোধীরা। অনেক বৈধ ভোটারের নাম কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে কেটে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
Advertisement
পাশাপাশি, তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভের সময় জুড়ে দেওয়া হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বাংলা ও বাঙালি হেনস্থার প্রসঙ্গটিও। দিল্লিতে বাঙালিদের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে পটিয়ালা হাউস আদালত। বিষয়টিকে আন্দোলনের জয় হিসেবেই দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। এর আগে জয় হিন্দ কলোনির প্রসঙ্গটি বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পেশ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। শুক্রবার বিক্ষোভে আদালতের স্থগিতাদেশের বিষয়টি তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
Advertisement



