আনন্দপুর, দেগঙ্গার পর এবার বসিরহাট। ফের রাজ্যে অস্ত্র-কার্তুজ উদ্ধার হল। সোমবার গভীর রাতে বসিরহাট থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ তাজা কার্তুজ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী। জেরার মুখে নিজেদের অপরাধ কবুল করেছেন তাঁরা। দুটি পিস্তল মিলেছে ধৃতদের কাছ থেকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ধৃতরা অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দু’জনের পাশাপাশি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে আর কারা জড়িত, ক্রেতাই বা কারা, সীমান্তের ওপারে বেআইনি অস্ত্রের আনাগোনা আছে কি না, তাঁদের জেরা করে এসব তথ্য হাতে পেতে চান তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার ধৃত দীপ্তজিৎ ও কাজলকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মোট ২৫২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দু’জনের নাম দীপ্তজিৎ সেন ও কাজল মুখোপাধ্যায়। ২৯ বছরের দীপ্তজিৎ বসিরহাটেরই চোট জিরাকপুরের বাসিন্দা। একই এলাকার বাসিন্দা কাজলের বয়স ৪০ বছর। বসিরহাট থানার অন্তর্গত সিশোনা দাসপাড়ায় বেআইনি অস্ত্র কারবার সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে প্রথমে দীপ্তজিৎ সেনের বাড়িতে তল্লাশি চলে। সেখান থেকে দুটি সেমি অটোমেটিক রাইফেল এবং ২৫২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। এরপর পাশের এলাকার কাজল মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেও বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় বসিরহাট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এত পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন? ধৃতদের জেরা করে তা জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।
দিন দশেক আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা থেকে দুটি দোনলা বন্দুক-সহ মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গ্রেপ্তার করা হয় আমিরুল মণ্ডল, হাবিল মোল্লা, আবু শহিদ হাজি এবং গিয়াসউদ্দিন গাজি নামে চার দুষ্কৃতীকে। সূত্রের খবর, বিহার থেকে অস্ত্রগুলি আনা হয়েছিল। মূলত বিক্রির লক্ষ্যেই সেগুলি দেগঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। মার্চের শেষে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স আনন্দপুর থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম আজিজ মোল্লা, বয়স ৩৬ বছর। তিনি হুগলির বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়। আজিজের সঙ্গী পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা ময়না মাজিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।