• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘মেয়েরা নাইট পার্টিতে যেও না’, আহমেদাবাদ পুলিশের পোস্টার ঘিরে প্রবল বিতর্ক

বিতর্কে পড়ে সাফাই দিয়েছেন শহরের পুলিশ আধিকারিক নীতা দেশাই। তিনি বলেন, আমদাবাদ মেয়েদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

‘মেয়েরা নাইট পার্টিতে যেও না’। গোটা আহমেদাবাদ জুড়ে এই পোস্টার। ধর্ষণ বন্ধ করতে গুজরাতের তরুণীদের এই নজিরবিহীন পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে জড়াল আহমেদাবাদ পুলিশ। সেই সঙ্গে এই রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তায় পুলিশের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আহমেদাবাদ শহর পুলিশের সেই পোস্টারে মেয়েদের রাতবিরেতে ঘোরাফেরা, পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে নির্জন স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এর ফলে মেয়েরা ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হতে পারেন। শহরের সোলা ও চাণক্যপুরী এলাকায় এ ধরনের পোস্টার ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। তীব্র সমালোচনা শুরু হতেই পুলিশ সেই পোস্টার সাততাড়াতাড়ি খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদ শহর পুলিশের সেই পোস্টারে মেয়েদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, ‘হে রঙ্গলি, নাইট পার্টিতে যেও না…ধর্ষণ…গণধর্ষণ হতে পারে।’ আবার পুরুষদের জন্য লেখা রয়েছে, ‘হে রঙ্গলা, বান্ধবীদের অন্ধকার নির্জন এলাকায় নিয়ে যেও না। ধর্ষণ…গণধর্ষণ হয়ে গেলে কী করবে?’ এই পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে আহমেদাবাদ পুলিশ। বিশেষ করে নারীবাদী সংগঠনগুলি, রাজনৈতিক দল কেউই ছেড়ে কথা বলতে কসুর করেনি।

Advertisement

বিতর্কে পড়ে সাফাই দিয়েছেন শহরের পুলিশ আধিকারিক নীতা দেশাই। তিনি বলেন, আমদাবাদ মেয়েদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। আসন্ন নবরাত্রি ও গরবা উৎসবের সময় সারারাত পুলিশ টহল দেবে রাস্তায়। কারও ভয়ের কোনও কারণ নেই।

Advertisement

তিনি এই পোস্টার প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে বলেন, সতর্কতা নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুমতি ছাড়াই পুলিশের নামে ওগুলি সাঁটিয়ে দেয়। ওই সংস্থা আমাদের কাছে এসেছিল। তারা বলে, একটি ট্রাফিক সচেতনামূলক কর্মসূচি চালু করবে স্কুল-কলেজে। আমাদের কাছে লোকবলের সাহায্য চায় তারা। আমাদের যান সতর্কতার কিছু পোস্টার দেখায়। কিন্তু এ ধরনের বিতর্কিত পোস্টার আমাদের দেখানো হয়নি। আমাদের সম্মতি ছাড়াই ওগুলো লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তবে পুলিশের আশ্বাসবাণী সত্ত্বেও সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। শাসকদল বিজেপিকে বিঁধে কংগ্রেস বলেছে, পুলিশের নামেই যখন স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে যে, এ রাজ্য মহিলাদের পক্ষে নিরাপদ নয়, তখন তা পুরোপুরি সরকারের ব্যর্থতা। রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে ৬ জন করে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু, সরকার কোনও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ।

Advertisement