সাগরদিঘি, ১৬ জানুয়ারি– তাঁর অজ্ঞাতেই দিল্লির বঙ্গভবন থেকে সমস্ত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে গুজরাত পুলিশ। আর দিল্লি পুলিশ ছিল এই কাজে মদদদাতা। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সরকারি কর্মসূচি থেকে গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সোমবার মমতা বলেন, গত পরশু রাতে গুজরাত থেকে পুলিশ এসে, দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের সমস্ত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি বঙ্গ নেত্রী, তিনি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন, ‘বঙ্গভবন রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। সেখানে বিনা অনুমতিতে কেউ ঢুকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরাসরি নাম না নিলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাকেত গোখলের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে বলেন ‘আমাদের একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার, সোশ্যাল নেটে কাজ করেন, তাঁকে বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। তাঁকে একবার রাজস্থান বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছিল। কোর্ট জামিন দেওয়ার পর আবার তাঁকে বঙ্গভবনে এসে গ্রেফতার করেছে।’
Advertisement
যদিও এই ক্যামেরা খোলার কারণ নিয়ে কিছুই বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী সাগরদিঘি থেকে বলেন, ‘এই ঔদ্ধত্য তোমায় কে দিল? আমি বুলডোজারের পক্ষে নই। কিন্তু গণতন্ত্রের উপর বুলডোজারের বিরুদ্ধে তোমাদের ক্লোজার হবে।’
Advertisement
কথা প্রসঙ্গেই সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এও বলেন, দিল্লিতে তিনি গেলে বেশিরভাগ সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ওঠেন। মাঝে মাঝে বঙ্গভবনে যান। কিন্তু রাজ্যপাল, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বা অন্য বিচারপতিরা দিল্লি গেলে নিউ বঙ্গভবনে ওঠেন। সেখানকার সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে চলে গিয়েছে গুজরাত পুলিশ। মমতা এও বলেন, কে কার সঙ্গে দেখা করেছে, কথা বলেছে সব ওদের কাছে চলে গেছে। কীভাবে এই অভিযান চালাল গুজরাত পুলিশ তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement



