গজনি প্রদেশের প্রবেশদ্বার ভেঙে দিয়ে। তালিবান বুঝিয়ে দিল, এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি তাদের। আফগানিস্তান দখল করার পর জেহাদিরা দাবি করেছিল দু’দশকে তারা অনেক বদলে গিয়েছে। এই দাবি যে কেবলই আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
২০০১ সালে তৎকালীন তালিবান নেতা মােল্লা ওমরের নির্দেশে বার্মিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি ভেঙে দিয়েছিল তালিবান। এবার গজনি প্রদেশের প্রবেশদ্বার ভেঙে দিল তারা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাদের’ কীর্তি’র ভিডিও।
Advertisement
তাতে দেখা গিয়েছে, ক্রেনের সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে এই প্রশ্চোর প্রায় কয়েক মুহূর্তেই ভেঙে টুকরাে হয়ে যাচেছ স্থাপত্যটি এতদিন আফগানিস্তানের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা আশরফ ঘানি সরকারই তৈরি করেছিল ওই প্রশ্চোর।
Advertisement
ইসলামীয় পরম্পরা ও সংস্কৃতির প্রতীক ধরা হত গজনির প্রবেশদ্বারকে। ক্ষমতায় এসেই তা ভেঙে ফেলল তালিবান। এখানেই শেষ নয়। কয়েক দিন আগেই বামিয়ানে হাজার নেতা আবদুল আলি মাজারির মূর্তি ভেঙে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে জেহাদিরা।
১৯৯৫ সালে ওই নেতাকে খুন করেছিল তালিবান জঙ্গিরা। এবার ক্ষমতায় ফিরেই মূর্তিটি ভেঙে দিল তারা। উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতে শুরু করার পর থেকেই দ্রুত দেশের দখল নিতে থাকে তালিবান।
গত ১৫ আগস্ট তারা কাবুলে ঢুকে পড়ে। এরপরই দেশের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি পালিয়ে যান কাবুল ছেড়ে। তিনি দেশ ছাড়ার পর আফগানিস্তানের শাসক হয়ে উঠেছে তালিবান।
Advertisement



