• facebook
  • twitter
Sunday, 27 April, 2025

কানাডার দুগ্ধজাত পণ্যে ২৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে চলেছে আমেরিকা

পাল্টা নীতি ট্রাম্পের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণের পর বিশ্বজুড়ে আমেরিকার দাদাগিরি অব্যাহত। এবার শুল্ক নীতি নিয়ে কানাডাকে পাল্টা লাল চোখ দেখাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের উৎপাদিত দুগ্ধজাত পণ্যে এবার ২৫০% শুল্ক চাপানো হবে। সেই সঙ্গে কানাডা থেকে আমদানি করা কাঠের ওপরও একই হারে শুল্ক চাপানো হবে বলে জানিয়েছেন। ফলে ট্রাম্পের এই নতুন বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা রীতিমতো চাপে পড়তে চলেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল।

শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘কাঠ ও দুগ্ধজাত পণ্যে বছরের পর বছর ধরে বিপুল শুল্ক চাপিয়ে কানাডা আমাদের নিংড়ে নিচ্ছে। এ বার কানাডা শুল্ক না কমালে আমরা সমপরিমাণ শুল্ক চাপাব। এই শুল্ক এখনই ধার্য হতে পারে, আবার সোম বা মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করাও হতে পারে।’

প্রসঙ্গত দুগ্ধজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষ নীতি রয়েছে ট্রুডো প্রশাসনের। কানাডার দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। গত কয়েক দশক ধরে এই নীতিতেই চলছে কানাডার বাণিজ্য। ২০২০ সালে ট্রাম্পের জমানাতেই আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা ত্রিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দুগ্ধজাত পণ্য কানাডাতে রপ্তানি করতে পারবে। তার বেশি দুগ্ধজাত পণ্য যদি আমেরিকা রপ্তানি করে সেক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ শুল্ক চাপানো হয়। কখনও কখনও এই শুল্কের হার ২০০ থেকে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত চলে যায়। কানাডার এই নীতির পালটা এবার সমপরিমাণ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প দ্বিতীয়বার কুর্সিতে বসার পরেই ঘোষণা করেন, আমেরিকার ওপর যারা শুল্ক চাপাবে, তাদের ওপর সম পরিমাণে শুল্ক চাপাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে চিনের ওপর। চিনের বেশ কিছু পণ্যের উপর সম্প্রতি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। একইসঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার কানাডা ও মেক্সিকোর ক্ষেত্রে সেই নীতি কার্যকর হতে চলেছে। তবে এই দুই দেশের ক্ষেত্রে আপাতত সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত।