লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহল থেকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার, ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর এবং চিনের রাষ্ট্রদূত স্যু ফেইহং— তিন জনই এই বিস্ফোরণ নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনাটি ভারত–সহ গোটা উপমহাদেশে নিরাপত্তা–সংক্রান্ত সংকটের ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লালকেল্লায় এই বিস্ফোরণ নিছক দুর্ঘটনা নয়, ‘এটা সন্ত্রাসমূলক কাজ’। তাঁর দাবি, এমন ঐতিহ্যবাহী স্থানে হামলা চালানো আন্তর্জাতিক স্তরে যথেষ্ট নিন্দার যোগ্য এবং সিঙ্গাপুর ভারতকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাশে থাকবে। বিস্ফোরণের তদন্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
Advertisement
আবার ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ইজরায়েল সবসময়ই ভারতের সন্ত্রাস–বিরোধী লড়াইয়ে শক্তভাবে পাশে আছে। তিনি জানান, ‘ভারত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নেয়, ইজরায়েল তার পুরো মাত্রায় সমর্থন করে।’ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সহানুভূতি জানিয়েছেন।
Advertisement
চিনের রাষ্ট্রদূত স্যু ফেইহংও বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘লালকেল্লার কাছে এই বিস্ফোরণ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। চিন ভারতবাসীর পাশে রয়েছে।’ একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাস মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার লালকেল্লার বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাও তদন্তে নেমেছে। ঘটনায় জড়িত একাধিক ব্যক্তির হদিশ মিললেও এখনও বিস্ফোরণের মূল চক্রী কে, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক নিন্দা ও সমবেদনার ঢল দেখে স্পষ্ট, দিল্লির ঐতিহাসিক এই স্থানে বিস্ফোরণের প্রভাব শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও পড়েছে।
Advertisement



