• facebook
  • twitter
Wednesday, 13 August, 2025

আমেরিকায় ডেমোক্র্যাট দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

আমেরিকায় ডেমোক্র্যাট দম্পতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। পৃথক ঘটনায় আরও দুই ডেমোক্র্যাট নেতাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আমেরিকায় ডেমোক্র্যাট দম্পতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। পৃথক ঘটনায় আরও দুই ডেমোক্র্যাট নেতাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কী কারণে জোড়া হামলা চালানো হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। চার ডেমোক্র্যাট নেতার উপর হামলার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মিনিয়েপলিসের কাছে ব্রুকলিং পার্কে থাকতেন ডেমোক্র্যাট নেতা মেলিসা হর্টম্যান এবং তাঁর স্বামী। মেলিসা হর্টম্যান মিনেসোটার প্রাক্তন স্পিকার। শনিবার সকালে মেলিসার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হামলাকারী। সূত্রের খবর, পুলিশ সেজে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় আততায়ী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

ঠিক একই কায়দায় হামলা চালানো হয় মার্কিন সেনেটের সদস্য হফম্যানের উপর। তবে কোনও রকমে তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। বর্তমানে সেনেট ৩৪-এর প্রতিনিধি চ্যাম্পলিনের ডেমোক্র্যাট নেতা হফম্যান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর স্ত্রী ইভেটকেও গুলি করা হয়েছে। দু’জনের অবস্থাই সঙ্কটজনক। এদিকে জোড়া হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। আততায়ীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়াল্‌জ জানিয়েছেন, এই হামলা পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, হামলাকারীর গাড়িতে একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে। সেই তালিকায় ৭০ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ডেমোক্র্যাট নেতা। সেই কারণেই এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী প্রথমে বাড়িতে ঢুকে হফম্যান দম্পতিকে গুলি করে। এর ৯০ মিনিটের মধ্যে হর্টম্যান দম্পতির বাড়িতেও একই ঘটনা হয়। পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির পর হামলাকারী পালিয়ে যায়। এখন তাঁকে খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এদিকে এই ঘটনার পরেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের হিংসার ঘটনা কোনও মতেই সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি জেনেছেন ট্রাম্প।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনপ্রণেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলেই তাঁর মনে হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং এফবিআই পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে জানিয়েছেন ট্রাম্প।