মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেও রণে ভঙ্গ দিতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ট্রাম্প। টেসলা কর্তার ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন,’খুব ভাল!’ তিনি এ-ও জানালেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাগযুদ্ধ চলার দায় তিনি বন্ধু মাস্কের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি ফের ট্রাম্পের সঙ্গে টেসলা কর্তার নতুন করে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠতে পারে?
এ বিষয়ে বুধবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’কে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বন্ধু মাস্ক তাঁকে নিয়ে নানান কুমন্তব্য করলেও বিষয়টি নিয়ে তাঁর বিশেষ খারাপ লাগে না। তিনি বলেন, ‘সুন্দর বিল’ নিয়ে তাঁর সঙ্গে যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল, সেজন্য তিনি মাস্ককে দোষারোপ করতে চান না। মাস্কের ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, খুবই ভালো যে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প এটাও স্বীকার করে নেন যে, এতদিন মাস্কের কার্যকলাপে তিনি সত্যিই বিরক্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত ‘সুন্দর বিল’কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বাগ্যুদ্ধ নিয়ে সরগরম ছিল গোটা বিশ্ব। ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ শুরু হতেই টেসলার শেয়ারদর ক্রমশ পড়তে শুরু করেছিল। সেই আবহে এ বার মাস্কের পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানালেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কয়েকদিন আগেই মাস্ককে জড়িয়ে ধরেছিলেন ট্রাম্প, যাঁর জন্য হোয়াইট হাউসে গড়ে দিয়েছিলেন আলাদা দপ্তর। পরবর্তীতে সেই মাস্কই হয়ে উঠেছিলেন তাঁর সরকারের পথে প্রধান ‘কাঁটা’। এমনকি ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছিলেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর সব সম্পর্কের শেষ!
অন্যদিকে ধনকুবের মাস্কও থেমে থাকেননি। সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করে বিদ্ধ করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। মাস্ক প্রকাশ্যে বলেছেন, যদি তিনি সাহায্য না করতেন, তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ভরাডুবি হতেন। মাস্ক ‘বড় বোমা’ ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়ে দাবি করেন, কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের ফাইলে নাম রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। যদিও পরে তিনি সমাজমাধ্যম থেকে সেই পোস্ট নিজেই সরিয়ে নেন। বুধবার এক্স হ্যান্ডলে টেসলা-কর্তা লেখেন, ‘ট্রাম্পকে নিয়ে করা কিছু পোস্টের জন্য অনুতপ্ত! বিষয়টা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।’