• facebook
  • twitter
Wednesday, 7 May, 2025

দ্বি-জাতি তত্ত্বের খোলাখুলি সমর্থন পাক সেনাপ্রধানের, খোঁচা কাশ্মীর নিয়েও

প্রবাসী পাকিস্তানিদের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে নিশানা করে আক্রমণ করেছেন জেনারেল মুনি্র।

বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির। প্রবাসী পাকিস্তানিদের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে নিশানা করে আক্রমণ করেছেন জেনারেল মুনি্র। তাঁর দাবি, পাকিস্তান কখনওই কাশ্মীরকে আলাদা হতে দেবে না। এর পাশাপাশি দ্বিজাতি তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানিদের মধ্যে দেশপ্রেম উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেন মুনির।

পাকিস্তানের সেনা প্রধানের কথায়, ‘আপনার কী মনে হয় সন্ত্রাসবাদীরা দেশের ভাগ্য কেড়ে নিতে পারবে ? ১৩ লক্ষ শক্তিশালী ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের ভয় দেখাতে পারে না। আপনার কী মনে হয় এই সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে পরাজিত করতে পারবে ?’

মুনি্র বলেন, বালোচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব। এত সহজে তা কেড়ে নেওয়া যাবে না। আগামী ১০ প্রজন্মও এটা আমাদের থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। পাকিস্তানের পতন হবে না। কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, ‘এটি আমাদের ঘাড়ের শিরা ছি্ল, এটি আমাদের ঘাড়ের শিরা থাকবে। আমরা একে ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মিরী ভাইদের সংগ্রামে একা ছেড়ে যাব না।’

অনাবাসী পাকিস্তানিদের এক সমাবেশে পাক সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। কোনওদিন আমাদের মধ্যে কোনও মিল ছিল না। আর ছিল না বলেই দুটো আলাদা দেশের প্রয়োজন পড়েছে।’ এদিন জিন্নাহ-র দ্বিজাতি তত্ত্ব তুলে ধরেছেন অসিম মুনির। সেই তত্ত্বের প্রশংসা করেছেন মুনির। তিনি বলেন, ‘সব শিশুকে পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ঠিকই ভেবেছিলেন যে আমাদের জীবন, সংস্কৃতি, ধর্ম, চিন্তা-ভাবনা সবই হিন্দুদের থেকে আলাদা। তার উপর ভিত্তি করেই টু নেশনস থিয়োরি হয়েছে। এই দেশ পাওয়ার জন্য আমাদের বহু আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। আমাদের বহু আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। সেই কাহিনী প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে করাতে হবে।’

সেনাপ্রধানের পদে থেকে দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রকাশ্য সমর্থন, এবং সাম্প্রদায়িক বক্তব্য নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।দ্বি-জাতি তত্ত্ব থেকে কাশ্মীর সব ইস্যুতে ভারতকে নিশানা করেছেন সেনাপ্রধান।যদিও কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, সবটাই রাজনৈতিক কারণে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বালোচ বিদ্রোহের মতো পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই তাঁর এই প্রচেষ্টা। তবে এটাও সত্য যে, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান বা মনোভাবে বিন্দুমাত্র বদল যে ঘটেনি তারই ইঙ্গিত মিলেছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের বক্তব্যে।