পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত। একের পর এক ভারত বিরোধী মন্তব্যের কারণেই তাঁদের দু’জনের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হল মনে করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফের এক্স হ্যান্ডল ভারতে ব্লক করা হয়েছিল। পহেলগাম কাণ্ডের পর জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে ‘ভুয়ো খবর’ ছড়ানোর অভিযোগেই আসিফের এক্স অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করা হয়।
পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। কাশ্মীরের ঘটনার পরেই প্রথমবার সিন্ধু জলচুক্তি রদ করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিলওয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘সিন্ধু নদ আমাদের। এটা আমাদেরই থাকবে। হয় সিন্ধু দিয়ে জল বইবে, নয়তো ওঁদের (ভারত) রক্ত বইবে।’ অন্যদিকে পহেলগামে জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘যখন পুলওয়ামা অপারেশনের ঘটনা ঘটেছিল, তখন আমরা ভারতকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু ভারত কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আত্মসমালোচনা এবং তদন্তের পরিবর্তে, মোদী সরকার পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে।’
সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল ‘ব্লক’ করেছিল কেন্দ্র। ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করার অভিযোগে গত সোমবার মোট ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলির মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’কোটি। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া চ্যানেলগুলি খুললেই ভেসে আসছে একটি বার্তা। তাতে লেখা রয়েছে, ‘এটি এই দেশে এখন উপলব্ধ নয়। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে সরকার এই নির্দেশ দিয়েছে।’
পহেলগাম কাণ্ডের পরপরই পাক সরকারের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। সাধারণত এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে কোনও দেশের সরকার বিভিন্ন সরকারি বিবৃতি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান ঘোষণা করে। পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল এতদিন ভারতে দেখা যেত। তবে সপ্তাহখানেক ধরে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশেই পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল বন্ধ করেছে ওই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।