অসুস্থ পরিবহ মুখােপাধ্যায়কে শনিবার হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার নবান্নে পাঁচ প্রবীণ চিকিৎসকের সঙ্গে আলােচনা করেও থমকে যাওয়া স্বাস্থ্য পরিষেবার কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া গেল না।
বুধবার থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে যখন ডাক্তার বনাম প্রশাসনের মধ্যে লড়াই চলছে, তখন প্রাণ বিপন্ন হচ্ছে একের পর এক অসহায় রােগীদের।
এনআরএসের ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গােটা বাংলায়। জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার কর্মবিরতির ডাকে শিকেয় উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
শুক্রবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সর্বাত্মক রূপ নেয়। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের পদত্যাগ করায় চিকিৎসা ব্যবস্থা একরকম ভেঙে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, বিহার, অসম ও হায়দরাবাদের চিকিৎসকরা একদিনের কর্মবিরতিতে সামিল হলেন।
রােগী মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযােগ তুলে হাসপাতালে চড়াও হওয়ার ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয়। হাতের সামনে পাওয়া চিকিৎসককেই মারধর করে ক্ষোভ মিটিয়েছেন মৃতের পরিজনরা।
এনআরএস কাণ্ডে গুরুতর জখম পরিবহ মুখােপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন এই জুনিয়ার চিকিৎসক।