৪০ জন তৃণমূলের বিধায়ক নাকি বিজেপি'র সঙ্গে যােগাযােগ করছেন। ৪০ জন বিধায়ক তাে দূরের কথা, একজনও গেলে ১ লক্ষ তুমুল বিধায়ক তৈরি হয়ে যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে ভদ্রেশ্বর সুভাষ ময়দানে জনসভা করতে এসে এভাবেই নরেন্দ্র মােদিকে পাল্টা আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সােমবার দুপুরে চণ্ডীতলা থানার অন্তর্গত কৃষ্ণরামপুর মাঠ হুগলি জেলার তিনটি লােকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগের তিন বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার, লকেট চ্যাটার্জি ও তপন রায়ের সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
বিএসএফকে বলছি আপনারা বিজেপি’র কথা শুনে কাজ করবেন না। বনগাঁ-বাগদা সীমান্ত এলাকা। আপনারা গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করুন। সােমবার বাগদার হেলেঞ্চায় বনগাঁ লােকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এসে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সভার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন কমিশনের নিরপেক্ষ তদন্তের। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই রবিবার হেঁড়িয়া ও তমলুকের কুমারগঞ্জে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় মােদির সভার খরচ নিয়ে কৈফিয়ত চান মমতা। প্রচারের খরচ হওয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তােলেন তিনি।
সোমবার সারা ভারতবর্ষে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহন চলছে। পশ্চিমবঙ্গের আটটি আসন সহ আরও আট রাজ্য মিলিয়ে ৬৩ টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ আসনটিও।
আগে ছিলেন চাওয়ালা এখন হয়েছেন চৌকিদার। আর এই চৌকিদার থাকলে দেশ বেচে দেবে। আবার পুণর্মুষিক ভবাে হবে৷ নরেন্দ্র মােদিকে এবার আর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে দেওয়া হবে না। শনিবার দুপুরে পান্ডুয়ায় এক জনসভা মঞ্চ থেকে এভাবেই মােদিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নতুন ভারত গড়তে এবং নতুন প্রজন্মকে যে আশার আলাে দেখিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে 'মিট দ্য প্রেস' নামে একটি অনুষ্ঠানে যােগ দিয়ে একথা বলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মানুষের জন্য লড়াই করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমাে তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় মমতা প্রকাশ্যেই জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে পাশে দাঁড় করিয়ে বলেন,কেষ্ট তুমি মাঝে মাঝেই তােমার ধমকানাে চমকানাে চালিয়ে যাও
রাজনীতির আসরে মোদি ও মমতা দুজনেই দুজনকেই মিষ্টিমুখ করান। যেমন ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল নেত্রীর 'দোনো হাত মে লাড্ডু' তুলে দেন। আবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলার ভোটে 'রসগোল্লা' খাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপিকে। কিন্তু তো রাজনীতির বহিরঙ্গের খাদ্য খাদকের বৈরিতা। কিন্তু অন্তরঙ্গে মোদি মমতার সম্পর্কে যে ছিল এমন আন্তরিকতা, তা কে জানত।
কৃষ্ণনগরে দিদির সভায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মোদি সভামঞ্চ থেকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মোদির কথায়, '২৩ মে ফল বেরনোর পরই তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বাজবে। সভায় এত ভিড়, সভার বদলে রোড শো দরকার ছিল। দিল্লিতে বসে কেউ ভাবতে পারে না এত বড় সমাবেশ।