শচীন পাইলট সহ ১৯ কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে যে অস্বস্তি শুরু হয়েছে তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না, এটাই ছিল রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষ সি পি যোশীর আবেদন।
রাজস্থানে পরিকল্পিতভাবে সরকার ফেলার চেষ্টা চলছে। সেই পরিকল্পনাতে শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছেন বিজেপি নেতারা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানটান নাটক চলছে রাজস্থানে। কংগ্রেসের অভ্যন্ত্ৰীণ লড়াই গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
গহলটের বিরুদ্ধে ক্ষোভে আদালত পর্যন্ত ছুটেছেন পাইলট। তার পরেও তাঁকে দলে ফেরাতে আপত্তি নেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের।
রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট ও অন্য আঠারো বিক্ষুব্ধ সদস্যের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না বলে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।
রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী মন্ত্রীদের রবখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তারা।
মঙ্গলবার জয়পুরে পরিষদীয় দলের বৈঠকে সচিন পাইলটকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
মঙ্গলবার জয়পুরের কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকেই শচীন এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
জ্যোতিরাদিত্যর পথ অনুসরণ করে তবে কি শচীন পাইলট বিজেপি যোগ দিচ্ছেন। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে।
কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের পর এবার কি রাজস্থানে সরকার ফেলতে তৎপর বিজেপি? রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অভিযোগ সেরকমই।