গ্যালারিতে বসে আছেন ফুটবল বিশ্বের তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি খেলা দেখছেন সতীর্থ ফুটবলারদের। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় মাঠে নামেননি রোনাল্ডো। কিন্তু মাঠে থেকে দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেবার জন্য ছুঁটে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর দল আল নাসের জিততে পারল না। তারা হেরে গেল ১-২ গোলে আল সাদের দলের কাছে।
স্টেডিয়ামে থাকলেও মাঠে ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৩৯ বছর বয়সেও তাঁর গুরুত্ব কতটা তা টের পেল আল নাসের দলে। রোনাল্ডো খেললে হয়তো ছবিটার রঙ পাল্টে যেত। দল যখন হেরে গেল স্বাভাবিকভাবে রোনাল্ডোর মন ভেঙে যায়।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ওঠার লক্ষ্যে নেমেছিল আল সাদের দল। আল নাসের আগেই প্লে-অফে চলে যাওয়ায় এই ম্যাচে রোনাল্ডোকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ফলে গ্যালারিতে বসেই খেলা দেখেন। গোটা ম্যাচে দাপট দেখায় আল নাসের। বলের দখল বেশি ছিল তাদের। গোল লক্ষ্য করে শটও বেশি মারেন সাদিয়ো মানেরা। তার পরেও তাদের হারতে হল। ফুটবলে গোলই যে আসল কথা সেটা আরও এক বার দেখা গেল।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটের মাথায় আল সাদেরকে এগিয়ে দেন আক্রম আফিফ। নভেম্বর মাসে এশিয়ার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে ভোলেননি তিনি। ৮০ মিনিটের মাথায় আল নাসের সমতা ফেরায় রোমান সাইসের আত্মঘাতী গোলে। দেখে মনে হচ্ছিল খেলা ড্র হবে।
কিন্তু সংযুক্তি সময়ে পেনাল্টি পায় আল সাদের। পেনাল্টি থেকে অ্যাডাম ওউনাস গোল করতে ভুল করেননি।
২০১১ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল আল সাদের। এ বারও তারা প্লে-অফে। দু’টি গ্রুপ থেকে আটটি করে মোট ১৬টি দল প্লে-অফ খেলবে। প্রতিটি গ্রুপে ১২টি করে দল রয়েছে। গ্রুপে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আল সাদের।
তার ঠিক উপরেই তৃতীয় স্থানে রোনাল্ডোর আল নাসের দল। হয়তো আল নাসের দল যেহেতু প্লেঅফ ম্যাচ খেলবার জন্য ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ায় সেই ভাবে এই ম্যাচটি তারা গুরুত্ব দিতে চায়নি।