সেমিফাইনালে সাঁ জাঁ, এমবাপের জোড়া গোল

Written by SNS April 18, 2024 12:33 pm

বার্সেলোনা– উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নিষ্প্রভ দেখিয়েছিল প্যারিস সাঁ জাঁর তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে৷ সেই এমবাপেই জ্বলে উঠলেন বার্সার ঘরের মাঠ এস্তাদি অলিম্পিকে৷

বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এমবাপে জোড়া গোল করলেন৷ এর আগেও বার্সার মাঠে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ফরাসি তারকা৷ এমবাপে সম্মোহীত করে রাখলেন বার্সাকে৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সাঁ জাঁ ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করল বার্সেলোনাকে৷ ম্যাচ হারার যন্ত্রণা লেগেছিল ভক্ত-অনুরাগীদের চোখেমুখে৷ দুপর্ব মিলিয়ে ৬-৪ গোলে সাঁ জাঁ ম্যাচ জিতে নেওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থেমে গেল বার্সার দৌড়৷ সেমিফাইনালে পিএসজি-র (পিএসজি) সামনে এবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ড৷
বার্সেলোনা-পিএসজি ম্যাচে ছিল উত্তেজনা৷ রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক৷ ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইস্তভান কোভাক্স৷ দুদল মিলিয়ে মোট ১২টি কার্ড দেখিয়েছেন তিনি৷ তার মধ্যে লাল কার্ডই ৩টি৷ কোভাক্স লাল কার্ড দেখান বার্সার কোচ জাভিকেও৷ বাদ যাননি তাদের গোলকিপার কোচও৷

প্রথম লেগে পিএসজির ঘরের মাঠে গিয়ে বার্সেলোনা ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতেছিল৷ দ্বিতীয় লেগেও একটা সময়ে বার্সাই প্রাধান্য দেখাচ্ছিল৷ ১২ মিনিটে রাফিনিয়া গোল করে এগিয়ে দেন বার্সাকে৷ দুপর্ব মিলিয়ে বার্সেলোনা তখন ৪-২ গোলে এগিয়েছিল৷ সবাই ধরেই নিয়েছিলেন বার্সেলোনাই যাচ্ছে শেষ চারে৷

২৯ মিনিটে বার্সা নেমে যায় ১০ জনে৷ রোনাল্ড আরাউজোকে লাল কার্ড দেখানো হয়৷ নিউমেরিক্যাল অ্যাডভান্টেজের সুবিধা নেয় পিএসজি৷ ৪০ মিনিটে পিএসজি-র হয়ে সমতা ফেরান দেম্বেলে৷ উল্লেখ্য, বার্সা ছেডে় দেম্বেলে পিএসজি-তে যান৷

সেই দেম্বেলেই তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের জালে বল জড়ান৷ দ্বিতীয়ার্ধে লেখা হয় অন্য চিত্রনাট্য৷ বার্সাকে চূর্ণ করে প্যারিস সাঁ জাঁ৷ ৫৪ মিনিটে হাকিমির কাছ থেকে বল পেয়ে পিএসজি-কে ২-১-এ এগিয়ে দেন ভিটিনহা৷

এর সাত মিনিট পরেই পেনাল্টি পায় পিএসজি৷ দেম্বেলেকে পেনাল্টি বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় সাঁ জাঁ৷ পেনাল্টি থেকে গোল করে এমবাপে ৩–১ করেন৷ আরও একটা নজিরও গড়লেন ফরাসি তারকা৷ প্রথম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচ স্প্যানিশ ক্লাবের মাঠে গোল করে রেকর্ড গড়েন৷ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন লেওয়নডস্কি৷ ৮৯ মিনিটে এমবাপে ফের গোল করে সাঁ জাঁর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন৷ বার্সার প্রাক্তন কোচ ছিলেন এনরিকে৷ তাঁর হাত ধরেই ট্রেবল জিতেছিল বার্সেলোনা৷ সেই এনরিকেই থামিয়ে দিলেন বার্সার দৌড়৷