ওএমআর সিট দশ বছর সংরক্ষণের পরিকল্পনা রাজ্যের

Written by SNS April 26, 2024 12:15 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি— দশ বছর ওএমআর সিট সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিতে চলেছ রাজ্য৷ দেরিতে হলেও রাজ্য সরকার পূর্বের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে৷ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর সিট ১০ বছর সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে৷ সোমবার আদালতের রায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার৷ মামলা করেছেন চাকরিহারা ব্যক্তিরাও৷ কিভাবে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বজায় রাখা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আইনজ্ঞদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করছে রাজ্য৷

সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতেই এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর সিট ১০ বছর সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিতে চলেছে রাজ্য৷ নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায় শোনার পর অনেকেই মনে করছেন, যদি পরীক্ষার্থীদের ওএমআরসির সংরক্ষণ করা থাকতো তাহলে এভাবে যোগ্যদেরও চাকরি হারাতে হতো না৷ কারণ ওএমআর সিটের মাধ্যমে সহজেই বিচার করা সম্ভব হতো যোগ্য এবং অযোগ্য কারা৷ যদিও এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে এসএসসির চেয়ারম্যান জানান, ” যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল এসএসসি৷ গত ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল৷ তাতে আদালত সন্ত্তষ্ট না হওয়ায় ফের ১৮ তারিখ হলফনামা জমা দেওয়া হয়৷” অন্যদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ঠিক একই কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও৷

প্রসঙ্গত সোমবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়৷ এর পাশাপাশি প্যানেল বহির্ভূত চাকরিপ্রার্থী যারা নিয়োগ পেয়েছেন এবং যারা ফাঁকা ওএমআর সিট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের প্রাপ্ত পুরো বেতন বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

সূত্রের খবর, নবান্নও মনে করছে পরীক্ষার্থীদের সকলের ওএমআর সিট সংরক্ষণ করা থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না৷ তাই যাতে ভবিষ্যতে এই ঘটনা এড়ানো যায় তাই ওএমআর সিট ১০ বছর সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিতে চলেছে রাজ্য৷ সরকারের একটি সূত্রের দাবি, চাকরিহারা ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের মাইনে আপাতত বহাল থাকবে৷ ওই সূত্রের দাবি যেহেতু হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ সে ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন৷