• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াল ওয়াশিংটন

ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে (স্থানীয় সময়ে শনিবার) ইরানের ফরডো, ইসফাহান এবং নাতান্‌জ—  এই তিন পরমাণু কেন্দ্রকে  লক্ষ্য করে হামলা চালায় আমেরিকা।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

অবশেষে সমস্ত সংশয় কাটিয়ে ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে জড়াল আমেরিকা। শনিবার ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে নতুন এই  সংঘাতের সূত্রপাত ঘটেছে। ফলে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি নতুন মোড় নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ তেহরান আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, কোনও দেশ ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলকে কোনোরকম সামরিক সহযোগিতা করলে কিংবা হামলা চালালে পাল্টা হামলা চালাবে। ফলে মার্কিন বায়ুসেনা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাতেই বদলা নিতে ইরান পাল্টা আমেরিকায় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ জন্য আমেরিকা যথেষ্ট সতর্ক দৃষ্টি রাখতে শুরু করেছে। সে দেশের একাধিক শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া আমেরিকার অন্যান্য শহরগুলিকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের উপর মার্কিন বোমারু বিমান হামলার পরেই এই সতর্কতা অবলম্বন করেছে ওয়াশিংটন।

এ ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইরান ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির সজাগ দৃষ্টি রাখছে। মার্কিন শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একই পথে হাঁটছে মেট্রোপলিটন পুলিশও। এছাড়া স্থানীয় পুলিশ দেশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে, যাতে যেকোনও জরুরি পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায় এবং তার মোকাবিলা করতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে (স্থানীয় সময়ে শনিবার) ইরানের ফরডো, ইসফাহান এবং নাতান্‌জ—  এই তিন পরমাণু কেন্দ্রকে  লক্ষ্য করে হামলা চালায় আমেরিকা। এর পরই আগামী দিনে আরও ভয়ানক ও প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।