শুক্রবার দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ৮৫জন পঞ্চায়েত প্রধান। ২৬ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের এই এই পঞ্চায়েত প্রধানদের গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের লালকেল্লায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উন্নত গ্রামীণ ভারতের সেরা চিত্র তুলে ধরতে চায় কেন্দ্রের মোদী সরকার ৷ কারণ এই পঞ্চায়েত প্রধানদের আমন্ত্রণ গ্রামীণ ভারতের অগ্রগতির প্রতীক।
প্রসঙ্গত, যাঁদের হাত ধরে গ্রামের চেহারা বদলে গেল তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ে স্যানিটেশন, পরিশ্রুত পানীয় জল, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দৃঢ় প্রশাসন ব্যবস্থার অগ্রগতির জন্য এইসব পঞ্চায়েত প্রধানদের বিশেষ অবদান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত পঞ্চায়েতকে স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ওডিএফ প্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জল জীবন মিশনে প্রকল্পেও এইসব পঞ্চায়েতগুলি সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছে বলে ধারণা জলশক্তি আধিকারিকদের।
Advertisement
প্রথা অনুযায়ী, শুক্রবার ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সংসদীয় রীতি মেনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। সেই হাই ভোল্টেজ অনুষ্ঠানে দেশের সেরা পঞ্চায়েত প্রধানদের মধ্যে রয়েছেন বিহারের সমস্তিপুরের মতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রেমা দেবী, রাজস্থানের ভরতপুরের রারাহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম সিংয়ের মতো পঞ্চায়েত প্রধানরা। উল্লেখ্য, সমস্তিপুরের মতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রেমার নেতৃত্বে তাঁর গ্রাম বর্জ্য থেকে শক্তি এবং জল ব্যবস্থাপনায় সারা দেশের একটি মডেল হয়ে উঠেছে।
Advertisement
অন্যদিকে, সম্পূর্ণ স্যানিটেশন কভারেজ অর্জন করেছে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের নিগভের দুমালা গ্রাম পঞ্চায়েত। এখানকার পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি উত্তম চৌগুলের নেতৃত্বে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং পুনর্ব্যবহার যোগ্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর এই বিশেষ অবদানের জন্য দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁকে লালকেল্লায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাতের পঞ্চায়েত প্রধান শশীকান্ত ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল। তিনি পরিবেশ উন্নয়নে সুলতানপুর গ্রামকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে এই পঞ্চায়েত প্রস্তাব পাশ করে প্লাস্টিকের বদলে কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তিনি ব্রেইল সাইনবোর্ড লাগানো একটি কমিউনিটি শৌচালয় নির্মাণ করেছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা রাজ্যে এই ধরনের উদ্যোগ তাঁর মতো আর কেউ নেননি।
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৫ অগস্ট উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি স্বচ্ছতা বাড়ানোর বিষয়ও প্রচার করা হয়েছে ৷ এই উদ্যোগের ফলে প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পানীয় জল থেকে শুরু করে নিকাশি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্র সরকার।
Advertisement



