বিএসএফের গুলিতে জখম হয়েছেন এক পাচারকারী। রবিবার ভোরের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। জখম ব্যক্তির চোখে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জখম ব্যক্তির নাম শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে শাহাবুদ্দিন গোবিন্দপুর কালঞ্জি সীমান্ত দিয়ে কিছু একটা পাচারের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁর গতিবিধি নজরে আসে বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের। সন্দেহ হওয়ায় শাহাবুদ্দিনকে দাঁড়াতে বলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু সেই কথায় গুরুত্ব না দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনই দূর থেকে গুলি চালান কর্তব্যরত এক বিএসএফ জওয়ান। গুলিটি সোজা গিয়ে লাগে শাহাবুদ্দিনের চোখে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্বরূপনগরের শাঁড়াফুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শাহাবুদ্দিনের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক।
এর আগেও বহুবার স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সোনার বিস্কুট থেকে শুরু করে রুপোর গয়না। এমনকী মাছের পোনা কিংবা মাদক দ্রব্যও বাদ যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে বিএসএফের নজরে পড়ে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে আবার অনেক সময় সফল হয়েছে পরিকল্পনা। সম্প্রতি এই স্বরূপনগরের সীমান্তেই এক পাচারকারীর কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই আবহে রবিবার ভোরে এলাকায় গুলি চলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পাচারের বাড়বাড়ন্ত রুখতে শুরু হয়েছে পদক্ষেপ।
বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জওয়ানরা গুলি চালাতে চায়নি। ওই পাচারকারীই গুলি চালাতে বাধ্য করেছে। যদিও কোনও পাচারের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট করেননি বিএসএফ কর্তারা। অপরদিকে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।