কংগ্রেসে শত্রুঘ্ন – রাহুল গান্ধীকে বললেন ‘মাস্টার অফ সিচ্যুয়েশন’

চলতি সপ্তাহে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বিজেপির বিদ্রোহী নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।

Written by SNS March 27, 2019 9:05 am

শত্রুঘ্ন সিনহা

দিল্লি, ২৬ মার্চ- বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা হিসাবে দলের মধ্যে পরিচয় ছিল ‘বিহারী বাবু’র। বোঝাই যাচ্ছিল বিজেপিতে তাঁর দিন ফুরিয়ে আসছে। এবার সেই অনুমানই সত্যি হল। চলতি সপ্তাহে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বিজেপির বিদ্রোহী নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। সব ঠিক থাকলে ২৮শে মার্চ বৃহস্পতিবার তিনি কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান, রাজ্যসভার সদস্য অখিলেশ প্রসাদ সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেসে যোগ দেবেন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল যে, পাটনা সাহিবের সাংসদ কংগ্রেসে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করায় বিজেপি এবার তারকা নেতাকে টিকিট দেয়নি। তাঁর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। দুজনেই কায়স্থ। পাটনা সাহিবে কায়স্থ ভোটার সংখ্যাই বেশি। অভিনেতা নিজেও কংগ্রেসে যাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। রবিবার তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘কংগ্রেসকে নিয়ে ভারত গড়ার সময় হয়ে এসেছে’।

পাটনা সাহিব থেকে দল তাকে করার পরই তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কিন্তু শত্রুঘ্ন নিজে স্পষ্ট করে তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে কথা বলেননি। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে কথা বলেননি। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে চলা জল্পনায় তিনি ইতি টানলেন- কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির প্রশংসা করে তাঁকে ‘মাস্টার অফ সিচ্যুয়েশন’ বলেন অভিভূত করেন। শুধু তাই নয়, রাহুল গান্ধির ন্যূনতম আয় নিশ্চয়তা প্রকল্প এনওয়াইওওয়াইর প্রস্তাবকে ‘নিপুণ চাল’ বলে ব্যাখ্যা করেন।

ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে পাটনা সাহিব থেকে দু’বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলে থেকে দলীয় নীতির কঠোর সমালোচনায় মুখর হয়ে তাঁকে প্রায়ই বলতে শোনা যেত, ‘ আপ করে তো রাসলীলা বাকি করে তো ক্যারেক্টার ঢিলা’।তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ‘রাহুল গান্ধী ন্যূনতম আয় নিশ্চয়তা প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এনওয়াইওওয়াইর প্রস্তাব রাহুল গান্ধির ‘নিপুণ চাল’। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপি নেতাদের থেকে জানতে চাই, কবে তারা প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫লাখ টাকা করে দেওয়া, কৃষি ঋণ মকুব করে দেওয়া, কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া, বেকার যুবকদের জন্য দু’কোটি চাকরি সহ একাধিক ঘোষণা করবেন’। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের ঘোষণা মতো ক্ষমতায় আসার পর তিন রাজ্যে কৃষি ঋণ মকুব করে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের বকেয়াও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে’।