মা রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ের মাত্র ২৫ দিনের মাথায় তাঁর একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন থেকে তাঁর সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সৃঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। যদিও সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সৃঞ্জয়ের মা রিঙ্কুর বিয়ে হয়েছিল। সেই সময় শহরে ছিলেন না ২৬ বছর বয়সি ওই যুবক। বন্ধুদের সঙ্গে তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাই বিয়েতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ের সিদ্ধান্তে তিনি খুবই খুশি। নতুন জীবনে পা রাখার জন্য রিঙ্কুকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় ফিরে নবদম্পতির সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন সৃঞ্জয়। কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর মা রিঙ্কুর। সম্প্রতি তিনি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তে তাঁর সম্মতি রয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন সৃঞ্জয়। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর একাধিকবার দেখা ও কথা হয়েছে। দিলীপকে তিনি বাবা হিসেবে মেনে নিয়েছেন। তবে মায়ের দ্বিতীয়বার বিয়ের মাত্র ২৫ দিনের মাথায় কী এমন ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিয়ের আগে নিউটাউনের সাপুরজির ফ্ল্যাটে একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয়ের সঙ্গেই থাকতেন রিঙ্কু। বিয়ের পর ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন সৃঞ্জয়। সোমবার রাতে ফ্ল্যাটে এক বন্ধু ও এক বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে রাঁধুনি আসেন। সেই সময় সৃঞ্জয়কে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পান তিনি। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটের রাঁধুনিই প্রথম রিঙ্কুকে ফোন করে খবর দেন। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের খবর দেন। দুপুরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যান সৃঞ্জয়ের বাবা তথা রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামী রাজা দাশগুপ্ত।