মহাকুম্ভে ফের বিপত্তি! সোমবার সন্ধ্যায় মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ২০-তে মাটিতে পড়ে একটি হট এয়ার বেলুন ফেটে যায়। এর ফলে ৬ জন ভক্ত দগ্ধ হন। এর মধ্যে দুই কিশোরও রয়েছে। তাদের সকলকে ২০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত উপ-কেন্দ্রীয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ সুয়াশ জানান, আহতদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারপর তাঁদের স্বরূপ রাণী নেহেরু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সকলকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন – ঋষিকেশের নিখিল ও প্রদীপ, প্রয়াগরাজের চাকিয়ার মায়াঙ্ক, মধ্যপ্রদেশের খারগোনের ললিত, ইন্দোরের শুভম এবং হরিদ্বারের আমান। মায়াঙ্কের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। প্রদীপ, শুভম, ললিত, নিখিল এবং আমানের দেহের চার থেকে পাঁচ শতাংশ পুড়ে গেছে। হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ সন্তোষ সিংহের মতে, আহতরা সকলেই উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। এইমস রায়বরেলি টিমের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ সুয়াস তাঁদের চিকিৎসা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আকাশে উড়ন্ত বেলুনটি ধীরে ধীরে মাটির দিকে আসতে শুরু করে। কৌতূহলবশত কিছু ভক্ত সেটিকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেলুনটিতে বাতাসের চাপ কম থাকার কারণে, মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেটে যায়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ফলে কাছে থাকা ভক্তরা আহত হন। এছাড়া বেলুনে থাকা মানুষদের মধ্যে চারজন গুরুতরভাবে পুড়ে গিয়েছেন, তাদের মুখে ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
ঘটনার সময়ে বেলুনের বাস্কেটে ছিলেন ৬ জন পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে ১৩ এবং ১৬ বছরের দুই কিশোর ছিল। আরও চারজন ছিলেন বাস্কেটে। বেলুনে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে সকলেই ঝলসে যান।
কুম্ভমেলার এসএসপি রাজেশ দ্বিবেদী বলেন, সেক্টর ২১-এর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। ছ’জনকে এসআরএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থাই স্থিতিশীল। তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। অনুমান করা হচ্ছে, বায়ুচাপ কমে যাওয়ার কারণেই হট এয়ার বেলুনটি ফেটে গিয়েছিল।
সোমবার ছিল বসন্ত পঞ্চমী। পুণ্যতিথিতে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে সঙ্গমে অবগাহন করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মৌনী অমাবস্যায় পদপিষ্টের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যোগী প্রশাসন বেশি সতর্কতা নিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না। উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতেই হট এয়ার বেলুন রাইড-সহ একাধিক অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য – জিপ লাইন, রক ক্লাইম্বিং।