প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর শি জিনপিং দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের জন্য চেন্নাই-এ দেখা করতে চলেছেন ১১-১২’ই অক্টোবর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সঙ্গে শুক্রবার চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের জন্য দেখা করবেন।

Written by SNS New Delhi | October 9, 2019 12:40 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। (File Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সঙ্গে শুক্রবার চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের জন্য দেখা করবেন।

ভারত ও চিনের মধ্যে এই দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন হতে চলেছে ১১-১২’ই অক্টোবর চেন্নাইয়ের কাছে মামাল্লাপুরম’এ।

বিদেশ মন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চেন্নাই সম্মেলন দুই দেশকে তাদের দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেবে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নিজেদের মতামত বিনিময় করবেন এই সম্মেলনে।

মোদি ও শি জিনপিং তাঁদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন করেন চিনের উহান’এ গত বছর ২৭ ও ২৮ এপ্রিলে।

ইতিমধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের আগে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বেজিংকে সংযত হতে দেখা যায়। কাশ্মীর সমস্যাট ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পরামর্শ দেয় বেজিং।

“কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে চিনের মত পরিষ্কার আর সঙ্গত। ভারত ও পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার সমাধান করুক আর পারস্পরিক বিশ্বাসকে সুসংহত করুক এটাই আমরা চাই। এটি উভয় দেশের আগ্রহ এবং বিশ্বের সাধারণ আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ” চিনের বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং মঙ্গলবার জানান।

কাশ্মীর অবস্থানে চিনের সংযম এমন সময় এসেছে যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য বেইজিংয়ে গিয়েছেন।

চীনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ি এর আগে নিউইয়র্কের ইউএনজিএ’র ৭৪ তম অধিবেশনে কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন যে কাশ্মীর ইস্যুটি “অতীত থেকে বিবাদ বিবাদযুক্ত এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে যথাযথ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত”।

এই মন্তব্যের কঠোর বিরধতা করে, বিদেশ মন্ত্রালয় নয়াদিল্লির অবস্থান পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুটি “সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়”।

পাকিস্তানের মিত্র চিন, কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদকে বিভিন্ন গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে সমর্থন করে এসেছে, প্রথমে ইউএনএসসি, তারপরে ইউএনএইচআরসি এবং অবশেষে ইউএনজিএ-তে।

৫ আগস্ট ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং এই রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে, যা ৩১ শে অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।