এবার খুলছে জিম, রাতের কারফিউ থাকছে না

বুধবার আনলক ৩’র নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশজুড়ে ১ আগস্ট থেকে আনলক ৩ শুরু হচ্ছে। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে আর রাতের কারফিউ থাকছে না।

Written by SNS New Delhi | July 30, 2020 12:10 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

বুধবার আনলক ৩’র নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশজুড়ে ১ আগস্ট থেকে আনলক ৩ শুরু হচ্ছে। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে আর রাতের কারফিউ থাকছে না। ফলে রাতের গণপরিবহনে আর বাধা থাকছে না। এখন থেকে রাতের শিফটে কাজ হবে কলকারখানায়। কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে খোলা যাবে জিম এবং যোগা কেন্দ্র। কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন কিন্তু কড়া হবে সাফ জানালো কেন্দ্র।

২৫ মার্চ করোনা মোকাবিলায় শুরু হয় লকডাউন। এরপর ৩১ মে দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। অর্থনীতির চাকা চলমান রাখতে এরপর ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়। লকডাউনের পর শুরু হয় আনলক পর্ব। জুন, জুলাই, অতিক্রম করে আগস্টের ১ তারিখ থেকে আনলকের তৃতীয় পর্ব।

বুধবার তার নতুন গাইডলাইন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই গাইডলাইনে রাতের কারফিউ আর থাকছে না এমনটাই জানা গেছে। আনলক ২’তে খুলে দেওয়া হয়েছিল হোটেল রেস্তোঁরা। এবার জিম এবং যোগা কেন্দ্র খুলছে আনলক ৩’তে। ৫ আগস্ট থেকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে জিম এবং যোগা কেন্দ্র খুলছে। তবে এবারও বন্ধ থাকছে স্কুল কলেজ সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জিমের দরজা খুললেও লোকাল ট্রেন, মেট্রো, সিনেমা হল, থিয়েটার, বার, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্কের দরজাই কিন্তু বন্ধই থাকছে। সিনেমা হল মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবি ছিল ২৫ শতাংশের বেশি দর্শক নিয়ে হল খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই মর্মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দাবিও জানিয়েছিল কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

মেট্রো রেল চালু করার দাবি বেশ কয়েকটি রাজ্য দাবি করেছিল কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিল না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিশ্বে করোনার থাবা ক্রমশ বাড়ছে। এই মুহূর্তে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পর ভারত রয়েছে আক্রান্তদের নিরিখে তৃতীয় স্থানে। কেন্দ্র লকডাউনের বাঁধন যদি শিথিল করে তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন থেকে রাস্তাঘাটে মানুষজন এবং গাড়ির ভিড় বেড়েছে। বাজারগুলিতেও দেখা গিয়েছে উপচে পড়া ভিড়। সংক্রমণের গ্রাফও উর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার করে। ফলে এ ধরনের আনলকের যৌতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু পুরোপুরি লকডাউন করলে অর্থনীতি সমস্যায় পড়তে পারে সে কারণে অর্থনীতির চাকা সচল রেখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিভাবে কমানো যায় সেই পদ্ধতিকেই সামনে রেখে লকডাউন এমনটাই বলছে কেন্দ্র।