বন্য প্রাণীদের রক্ষা এবং সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু হলো পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম এলাকায়। বর্ধমানের আউসগ্রাম জঙ্গলমহল এলাকায় ইদানিং পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। বন দপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনায় জঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন প্রানীদের রক্ষা করতে বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে জঙ্গলের মধ্যে দেশিয় নেকড়ে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি যাতে হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। শুরু করা হলো নেকড়ে গোনার কাজ।
তবে এই সমীক্ষার কাজে সহায়তা করছে একটি সংস্থা। তারা সব ধরনের সমীক্ষার কাজ করে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তারা আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নেকড়ে গোনার কাজ শুরু করলো। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা। ১৫ টি অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চলছে জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায়। বন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে আউসগ্রামের খান্ডারি, আদুরিয়া সহ কয়েকটি এলাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে গননার কাজ শুরু হয়েছে। আউসগ্রাম জঙ্গলমহল এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই বন দপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কাজ চলছে। বন্য প্রাণীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি করা হয়েছে সরকারি ভাবে। ময়ূর, হেরোল সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেসব দেখতে ওই এলাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। শীতকালে অনেকেই ঘুরতে যাচ্ছেন জঙ্গলমহলে। তাই তাদের কাছে আরও আর্কষন বাড়াতে বন দপ্তরও এগিয়ে এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের বন দপ্তরের আধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা জানান, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
তিনি জানান, ‘ ইন্ডিয়ান উলফ ‘ এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আউসগ্রাম জঙ্গলমহলে ওই ধরনের প্রজাতির নেকড়ের দেখা আগেও মিলেছে। তাই তাদের সংখ্যা কতগুলো আছে তারা সুরক্ষিত কিনা এসবের জন্য সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। ১৫ টি ক্যামেরা লাগিয়ে চলছে নজরদারি। তবে যতদূর জানা গেছে ওই প্রজাতির নেকড়ে এখন বিপন্ন দের তালিকায়। তাই সংরক্ষণ এবং প্রজননের পরিবেশ তৈরি নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষক সংস্থার সম্পাদক অর্কজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানান, ভারতীয় নেকড়ের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। তাই বন দপ্তরের সাহায্য নিয়ে তাদের সুরক্ষিত বাসস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন, পুরো গননার কাজ শেষ হলে তার রিপোর্ট বন বিভাগের কাছে দেওয়া হবে। যাতে জঙ্গল সুরক্ষার মাধ্যমে তাদেরও বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষা
করা যায়। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কাছেও সচেতনতা বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
Advertisement



