২৪ বছরের পুরনো একটি মানহানির মামলায় শুক্রবার বিশিষ্ট সমাজকর্মী মেধা পাটেকরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। এই মামলায় গত বছর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন মেধা। অভিযোগ, প্রবেশন বন্ড জমা দেননি তিনি। সেই কারণে বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তারই জেরে শুক্রবার দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপ। তবে দিল্লির আদালত ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নেত্রীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
২০০০ সালে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মেধা পাটেকর। সেই সময় ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সিভিল লিবার্টিজ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বর্তমান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তাঁর সংগঠন নর্মদা আন্দোলনের বিরোধিতা করে বিজ্ঞাপন দেয়। এর পাল্টা মেধাও সাক্সেনার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তোলেন। নেত্রীর অভিযোগ ছিল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির তৎকালীন সভাপতি ভিকে সাক্সেনা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশ থেকে আর্থিক লেনদেনে যুক্ত। তাঁকে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘এজেন্ট’ বলেও চিহ্নিত করেছিলেন মেধা।
এরপর মেধার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি করেছিলেন দিল্লির বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা। মেধার মিথ্যা দাবির জন্য সাক্সেনার সামাজিক সম্মানহানি হয়েছে বলে গত বছরের জুলাই মাসে রায় দিয়েছিল আদালত। সেই কারণে তাঁর পাঁচ মাসের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের সাজা হয়েছিল। কিন্তু সেই সঙ্গেই মেধার জামিনও মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু মেধা জামিনের শর্ত মানেননি বলে অভিযোগ। সেই কারণে গত বুধবার সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ বিশাল সিং।
শুক্রবার আদালতে মেধার আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘জামিন অযোগ্য মামলায় গ্রেপ্তারি নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে আমরা প্রবেশন বন্ডে সই করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক, আজই আমি প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেশ করব।’ দিল্লিতে সাকেত কোর্টের বিচারক বিপিন খারব বলেন, ‘সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হলে আমি মুক্তির নির্দেশ দিতে পারব না। অর্থাৎ প্রবেশন বন্ড সংক্রান্ত যা করা দরকার, তা করতেই হবে।’ এরপর প্রবেশন বন্ডের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেধা পাটেকর মুক্তি পান।