আইপিএল চলাকালীন বুধবার দুপুরে সিএবি’তে ইডেন উদ্যান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া ই-মেল এসেছে। সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি মেলের কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম বোমা হামলার হুমকি দিল পাকিস্তান। গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে এইরকমই একটি হুমকি দিয়ে মেল এসেছে। তাতে লেখা হয়েছে ‘আমরা তোমাদের স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেব।’ মেলের নিচে লেখা আছে পাকিস্তান। তারপরই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক হয়ে পড়েছে। এই মেল নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ হামলার পরে এই ধরনের হুমকি মেল আসাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও জোরদার করা হয়েছে। আগামী ১৪ মেয় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাত টাইটান্স ও লখনউ সুপার কিংসের খেলা রয়েছে আইপিএলে। আর ১৮ মে গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে সেখানেই ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। তাই এই দু’টি ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিশেষ চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে পহেলগামে জঙ্গি হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটি। তবে ভারতের এই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রভাব পড়ল চলতি আইপিএলেও । আসলে, এই ঘটনার পর একাধিক বিমান সংস্থা তাদের উড়ান পরিষেবা বন্ধ করেছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে জম্মু, শ্রীনগর, ধর্মশালা, যোধপুর, অমৃতসর, জামনগর, চণ্ডীগড়, রাজকোট সহ বিভিন্ন বিমানবন্দর। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকার জেরেই আগামী ৮ মে ধর্মশালায় বাতিল করা হতে পারে পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচটি । তবে সরকারি ভাবে তা জানানো হয়নি। এমনও হতে পারে এই ম্যাচটি মুম্বইতে চলে যেতে পারে। আসলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ফলে আগামী ১০ মে ভোর ৫.৩০ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে ধর্মশালা বিমানবন্দর। এজন্য ওখানে ম্যাচ হলে সমস্যায় পড়তে হত দিল্লি ক্যাপিটালসকে । সেজন্যই বোর্ডের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সপ্তাহের শেষে ওখানে আগামী ১১ মে ম্যাচ ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সেই ম্যাচও মুম্বইতে সরে যাচ্ছে বলেই এদিন বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। আসলে, ধর্মশালা স্টেডিয়ামের কাছাকাছি আরও যে দুই বিমানবন্দর রয়েছে, সেই অমৃতসর এবং চণ্ডীগড়ও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র । সেজন্যই বোর্ডের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
Advertisement
এবিষয়ে বোর্ডের এক কর্তা জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতি আইপিএলের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।’ পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন বিসিসিআই বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
Advertisement
Advertisement



