দিল্লিতে চারতলা বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল ৪ জনের। ঘটনাটি উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদ এলাকার। শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়িটি ভেঙে পড়ে। এর ফলে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যান। অন্তত চার জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। দিল্লি পুলিশের সহকারী ডিসি (উত্তর-পূর্ব) সন্দীপ লাম্বা জানিয়েছেন, রাত ৩টে নাগাদ বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
দিল্লির দমকল বিভাগের আধিকারিক রাজেন্দ্র আটওয়াল বলেন, ‘রাত ৩টে নাগাদ আমরা একটা বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাই। দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই আমরা। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, একটা চারতলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন। দমকলের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।’
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে বাড়িটি। ঘটনার অভিঘাতে গোটা এলাকায় ধুলো ছড়িয়ে পড়ে। চারদিক অস্পষ্ট হয়ে যায়। শুক্রবার থেকে দিল্লিতে চলছে অনবরত বৃষ্টি এবং বজ্রপাত। টানা বৃষ্টির কারণেই মাটি আলগা হয়ে চারতলা বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে রেখা লিখেছেন, ‘মুস্তাফাবাদে বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ঈশ্বর নিহতদের আত্মার শান্তি দান করুন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলিকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।’ দিল্লির মেয়র মহেশ কুমার খিঞ্চি বলেন, ‘পুরসভার আধিকারিকদের তদন্ত শুরু করার এবং দোষীদের অবিলম্বে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে বাড়ির ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মিরাটে। মিরাটের আহমেদনগরের ১৫ নম্বর গলিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভেঙে পড়া ছাদ সরিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় ৯ মাসের এক শিশু কন্যা, এক মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক সুভাষচন্দ্র গৌতম জানান, কী কারণে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।