স্কুলে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও ‘ বক্তৃতার জন্য প্রশংসা পাওয়ার কয়েকদিন পর, গুজরাটের সবরকান্থায় স্কুলের ভিতরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠল। মেয়ে শিশুকে বাঁচানো ও শিক্ষিত করার গুরুত্ব নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে ভাষণ দেওয়ার মাত্র ১১ দিন পরে ওই ছাত্রীর জীবনে এই ঘটনা ঘটে যায়। ১৫ বছর বয়সের এই কিশোরী এই ঘটনার পরও মনের জোর হারায়নি। আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।তার উপর নির্যাতনের মাত্র তিন সপ্তাহ পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বিষয়ে বক্তৃতা করে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিল দশম শ্রেণির এই স্কুলছাত্রী। সেই ছাত্রীকেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রের নারীকল্যাণমূলক প্রকল্প ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ নিয়ে বক্তৃতা করেছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ, ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত তাকে একটি হোটেলে নিয়ে যান। বছর ৩৩ – এর অভিযুক্ত শিক্ষক জানান, জন্মদিন উদযাপনের জন্য তিনি ওই পড়ুয়াকে হোটেলে নিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ, সেখানেই ধর্ষণ হয় ওই ছাত্রীকে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বোর্ড পরীক্ষায় অকৃতকার্য করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছে, সে বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হতে চায়। তাই মন দিয়ে পড়াশোনা করে ভাল ফল করতে চায় সে। তার কথায়, ‘আমি সবসময়ই পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। বিজ্ঞান ও গণিত আমার প্রিয় বিষয়। আমি আমার বোর্ডের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আমার অ্যাকাডেমিক বিষয় বেছে নেব।’ মেয়েটির বাবা-মা কৃষি শ্রমিক।
এই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি তার আত্মীয়ার কাছে রয়েছে। সেই পরিবারের দুই মেয়েও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেয়েটির এক আত্মীয় বলেন, ‘আমরা চাই না যে মানুষ ও আত্মীয়স্বজন প্রতিদিন এখানে আসুক এবং তার পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাক।
নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর পরিবারে বেশিরভাগ সদস্য কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। তার পরিবারও চায় মেয়েটির উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে। ছাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম খামারে কাজ করুক। সর্বোপরি, আমরা জমির মালিক নই। আমরা শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করি। ‘