রেলের খাবারের দাম নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। কখনও যাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে বেশি দাম নেওয়া হয়, আবার কখনও ভুয়ো বিল দিয়েই যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। রেলের হেল্পলাইন নম্বরে অভিযোগ জানালে তখনই টনক নড়ে প্যান্ট্রি ম্যানেজারদের। অতিরিক্ত টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ তুললে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার টোপও দেওয়া হয় প্যান্ট্রি কারের কর্মীদের তরফে। রেলের খাবারের সমস্যা মেটাতে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী জানান, ট্রেনে পরিবেশিত খাবারের মেনু ও মূল্য তালিকা স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী জানান, যাত্রীদের সুবিধার্থে আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট ও এসএমএস-এর মাধ্যমে মেনু ও মূল্য তালিকা জানানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্যান্ট্রি কারের কর্মীদের কাছে প্রিন্টেড মেনু কার্ড থাকবে। যাত্রীরা চাইলেই সেটি দেখতে পারবেন। ট্রেনের প্যান্ট্রি কারেও মূল্যতালিকা টাঙামো থাকবে। খাবারের মান উন্নত করার জন্য আধুনিক বেস কিচেন চালু করা হচ্ছে। রান্নার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
খাবারের মান উন্নত করার জন্য নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কাঁচামাল ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের তেল, চাল, আটা, ডাল, মশলা, দুধ ও পনির ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেস কিচেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ফুড সেফটি সুপারভাইজারদের নিয়োগ করা হয়েছে। ভালো মানের খাবার নিশ্চিত করতে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে সার্ভে করাহচ্ছে এবং যাত্রীদের মতামতও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, যাত্রীদের সরবরাহ করা খাবারের প্যাকেটে কিউআর কোড দেওয়া হবে। এই কোড স্ক্যান করে যাত্রীরা জানতে পারবেন খাবার কোথায় প্রস্তুত হয়েছে ও কখন প্যাকেজিং করা হয়েছে। আইআরসিটিসি সুপারভাইজাররা ট্রেনে সরবরাহ করার খাবারের দায়িত্বে থাকবেন। বেস কিচেন ও প্যান্ট্রি কারগুলিতে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি ক্যাটারিং ইউনিটের জন্য ভারতের খাদ্য সুরক্ষা ও মান কর্তৃপক্ষ-এর সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।