জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্তর থেকে গ্রেফতার ১০

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাণ্ডব চালানাের অভিযােগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতারের তালিকায় কোনও পড়ুয়া নেই বলে জানানাে হয়েছে।

Written by SNS New Delhi | December 18, 2019 12:25 pm

অন্তত ৫টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। (Photo: IANS)

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাণ্ডব চালানাের অভিযােগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও গ্রেফতারের তালিকায় কোনও পড়ুয়া নেই বলে জানানাে হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই অপরাধী ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে পড়ুয়াদের কাউকে গ্রেফতার না করা হলেও তাদের ক্লিনচিটও দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে অসমে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। অসম পুলিশের প্রধান ভাস্কর জ্যোতি মাহান্তা জানান, ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ১৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছিল। গ্রেফতারির তালিকায় অসমের বিরােধী দলের বেশ কয়েকজন উল্লেখযােগ্য নেতাও রয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩০০০-এর বেশি মানুষকে পুলিশ হেফাজতে রেখেছে। বেশ কিছু পড়ুয়াদেরও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের অবশ্য বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শেষ পাওয়া খবরে, পুলিশের গুলিতে অসমে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই বিষয়ে অসম পুলিশের চিফ সাফাই দিয়ে জানান, জনগণ এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতেই তাদের গুলি ছুড়তে হয়েছিল। অসমের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অসমের পাশাপাশি দিল্লিতেও ক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল রবিবার। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে কেন্দ্র নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনী। ছােড়া হয় টিয়ার গ্যাস। এরপরই তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

আম আদমি পার্টি ভিডিয়াে ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, পুলিশই খােদ ওই বাসে আগুন লাগিয়েছিল। যদিও পুলিশ সেই অভিযােগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।