কাশ্মীরের পহেলগেম জঙ্গি হামলায় নিহত সমীর গুহর বাড়িতে গেল এনআইএ। শনিবার তাঁদের বাড়িতে যান এনআইএ-র তিন আধিকারিক। সূত্রের খবর, কী ভাবে হামলা হয়েছিল, জঙ্গিরা ঠিক কী বলেছিল, গুলি করার আগে জঙ্গিরা কোনও সংগঠনের নাম নিয়েছিল কি না, তারা মোট কতজন ছিলেন ঘটনাস্থলে, ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিত জানতেই এনআইএ-র গোয়েন্দারা সমীরবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন।
বেশ কয়েক ঘণ্টা সমীর গুহর স্ত্রী শবরী ও মেয়ে শুভাঙ্গীর সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকেরা। আনুমানিক কখন হামলা হয়েছিল, হামলাকারীদের কতজনকে তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন এবং হামলার সময় বা তার আগে জঙ্গিরা কী বলেছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। সমীরবাবুর স্ত্রী ও মেয়ের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। এনআই-র তদন্তকারীদের বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলির বাসিন্দা ও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে। নথিভুক্ত বয়ান দ্রুত দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেবে এনআইএ।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে সমীর গুহ ছাড়াও বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারী ও পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী মণীশরঞ্জন মিশ্রও ছিলেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী মণীশরঞ্জন মিশ্রের বাড়িতেও যাবেন এনআইএ-র আধিকারিকেরা।
সমীরের স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে আগে জানিয়েছিলেন, হামলার ঘটনার সময় চেয়ারে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই গুলির আওয়াজ পান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের সামনে চলে আসে জঙ্গিরা। গুলির আওয়াজ পেয়েই সমীর তাঁদের মাটিতে শুয়ে পড়তে বলেন। ততক্ষণে মুখে মাস্ক লাগিয়ে সামনে চলে আসে জঙ্গিরা। ‘ইনকো মাত ছোড়না’ বলেই গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সমীর।