শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হওয়া বিশৃঙ্খলার আগে অনষ্ঠান মঞ্চে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছিলেন তিনি। তারপরই কমেন্ট সেকশনে ধেয়ে আসতে শুরু করে একের পর এক বাক্যবাণ। শুভশ্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। তাঁর শারীরিক গঠন নিয়েও মন্তব্য করেন সমালোচকরা। এর বিরুদ্ধে রবিবার সমাজমাধ্যমে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন শুভশ্রীর স্বামী তথা পরিচালক–বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। এরপর রাতের দিকে টিটাগড় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
শনিবার লিয়োনেল মেসির কলকাতা সফরের সময় যুবভারতী কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অভিযোগ, মেসি মাঠে ঢোকার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে ছিলেন ভিআইপিরা। সেই কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখা যায়নি। ১৫–২০ মিনিটের মধ্যেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মেসি। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে প্রিয় খেলোয়াড়কে না দেখতে পেয়ে গ্যালারি ও মাঠে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করেন দর্শকরা। মেসিকে ঘিরে থাকা নেতা, মন্ত্রী, ভিভিআইপিদের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমেও ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
সেই আবহে মেসির সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন শুভশ্রী। সেই ছবিতে একের পর এক কুরুচিকর কমেন্ট আসতে শুরু করে। পাশাপাশি শুভশ্রীর সেই ছবি বিকৃত করেও পোস্ট করা হয়। শুভশ্রীকে এভাবে আক্রমণ করার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও উস্কানি রয়েছে বলে মনে করছেন রাজ। তিনি বলেন, ‘একজন নারীকে যেভাবে কুৎসা, নোংরা ইঙ্গিত করা হচ্ছে, তাঁর শারীরিক গঠন, সন্তানকে নিয়ে যাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করছেন তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ব্যক্তিগত আক্রমণটা কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও।’
শুধুমাত্র শুভশ্রী নন, অন্য কোনও মহিলাকে কুইঙ্গিত দেওয়া হলে বা অপমান করা হলেও তিনি প্রতিবাদ করতে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান রাজ। তাঁর কথায়, ‘আমার পরিবারের কেউ বলে নন। যারা মহিলাদের কুইঙ্গিত করে কথা বলে, আমি সেসব মানুষকে ঘেন্না করি। রাস্তা কিংবা সোশাল মিডিয়ায় যদি মহিলাদের অপমান করা হয় তার প্রতিবাদ করতে আমি দাঁড়িয়ে আছি। ক্ষমতা থাকলে সে আমার সামনে এসে দাঁড়াক, আমি তার জিভ, চোখ দু’টোই তুলে নিতে পারি।’ রাজের প্রশ্ন, বাংলা ছবির নায়িকা বলেই কি তাঁকে সহজে আক্রমণ করা যায়? কাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি রাজ চক্রবর্তী। লিখিত অভিযোগে সমাজমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চরিত্র হনন, মানহানি এবং নারীর প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement