• facebook
  • twitter
Monday, 15 December, 2025

ডাস্ট অ্যালার্জিতে ভুগছেন, জেনে নিন কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন অ্যালার্জি

লাইফস্টাইল ঠিক রেখে এবং কিছু সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি অ্যালার্জিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন

বর্তমান সময়ে ডাস্ট অ্যালার্জি খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। যার জেরে অবশ্য অনেকের জীবনই নাজেহাল হয়ে ওঠে। হাঁচি, সর্দি, চোখ চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট এই রোগের সাধারণ লক্ষ্মণ। তবে ঠিক ভাবে চিকিৎসা না করালে, তা অনেক সময়ই গুরুতর সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ওষুধ ছাড়াও লাইফস্টাইল ঠিক রেখে এবং কিছু সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি অ্যালার্জিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

ডাস্ট অ্যালর্জি থেকে বাঁচতে গেলে প্রথমে বুঝতে হবে এর মূল কারণ কী? ধুলোর মাইট হল অ্যালার্জির প্রধান উৎস। এই ক্ষুদ্র জীবগুলি মূলত গরম ও আর্দ্র পরিবেশে জন্মায়। বিশেষত বিছানাপত্র এদের জন্মানোর জন্য আদর্শ জায়গা। এদের যদি ঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই রেহাই মিলতে পারে।

Advertisement

ডাস্ট অ্যালার্জি হলে প্রথমেই যত্ন নিতে হবে বিছানাপত্র। বালিশ, তোষক এবং লেপের উপর অ্যালার্জি-প্রুফ কভার ব্যবহার করুন। এই কভারগুলি মাইট এবং তাদের বর্জ্য পদার্থকে আটকে রাখে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার এবং কম্বল গরম জলে ধুয়ে নিন।

Advertisement

ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের দিকে খেয়াল রাখুন। কারণ ধুলোর মাইট আর্দ্রতা ভালোবাসে। ঘরের আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের নীচে থাকলে ভালো হয়।  আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। কার্পেট, ভারী কম্বল বা ঘন পর্দা এড়িয়ে চলাই ভালো।

কারণ এগুলি ধুলোর মাইট এবং অন্যান্য অ্যালার্জেনদের জন্য আদর্শ। জানলায় হালকা পর্দা ব্যবহার করুণ যাতে সহজে ধোওয়া যায়। নিয়মিত সঠিক উপায়ে ঘর পরিষ্কার করুন। হেপা ফিল্টার যুক্ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। যা সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে শোষণ করে অ্যালার্জির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সাধারণ ঝাড়ু ধুলো আরও বেশি বাতাসে ছড়াতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে ঝাড়ু এড়িয়ে চলাই ভালো।

শুকনো কাপড়ের পরিবর্তে ভেজা কাপড় বা মপ দিয়ে আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্র মুছুন। ধুলো বাতাসে ওড়ার সুযোগ কমে যায়। ঘর পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই নাকে এবং মুখে মাস্ক পরুন। এতে অ্যালার্জেন সরাসরি আপনার শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারবে না। পরিষ্কারের পর কমপক্ষে ২০ মিনিট ঘরে না থাকাই ভালো।

বাড়ির ভিতরের বাতাসের গুণমান বাড়াতে পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে হেপা ফিল্টার যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। যা বাতাস থেকে পরাগ, ধুলোর মাইটের বর্জ্য এবং অন্যান্য অ্যালার্জেন ফিল্টার করে দেবে। এ ছাড়া ঘরের ভেতরের ডাস্টবিন নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং বাইরে রাখুন।

 এগুলি করার পরও যদি অ্যালার্জি না কমে বা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই একজন অ্যালার্জিস্ট বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, সামান্য সচেতনতা এবং নিত্যদিনের জীবনের কিছু পরিবর্তন আপনাকে একটি স্বচ্ছন্দ এবং হাঁচিমুক্ত জীবন দিতে পারে।

 

Advertisement